শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মাসকাটে কেন এমন হার?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাসকাটে কেন এমন হার?

ঢাকায় ফেরার পর ফুটবলাররা

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৪ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। এই খবর বেশ পুরনো। কিন্তু দশ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প, স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ এবং আটোসাটো পরিকল্পনা করেও কেন ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ! প্রথমার্ধে প্রবল শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে আটকে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে কেন চারটি গোল হজম করতে হলো। জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে’ও ফলটা মানতে পারছেন না। তার মতে, ওমান অনেক ভালো দল। তবে তাদের বিপক্ষে এতগুলো গোল খাওয়ার মতো দল নয় বাংলাদেশ। তাহলে কেন বড় ব্যবধানে পরাজয় বরণ করতে হলো!

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘প্রথমার্ধটা আমরা দারুণ খেলেছি। কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছি। গেম প্ল্যানটা দারুণ ছিল।’ সাবেক এ অধিনায়কের মতে, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করায় বাংলাদেশ গেম প্ল্যান থেকে বেরিয়ে গিয়ে অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে থাকে। এর ফলেই প্রতিপক্ষের সামনে গোলের সুযোগ তৈরি হয়। তাছাড়া গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার ভুলেই তো দুটি গোল হলো। একটিতে তিনি ফ্লাইট মিস করেছেন। অন্যটিতে নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। এমিলি বলেন, ‘ওমান অনেক শক্তিশালী দল। ওদের বিপক্ষে আমাদের কৌশলী ফুটবলই খেলা উচিত ছিল। যেমনটা প্রথমার্ধে খেলেছি।’ অনেকটা এমিলির মতোই বলেছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ছিল। ম্যাচের কিছু সময় আমরা ওদের সুযোগ দিয়েছি। আর এমন ভালো দলকে সুযোগ দিলে তারা সেটা কাজে লাগাবেই।’

 ওমান ম্যাচ শেষ। এবার সামনে ছোটার পালা। যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলে তা ধরে রাখতে আরও অনেক উন্নতি প্রয়োজন। এমিলি বলেন, ‘আমরা সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারিনি। একটা গোল হয়ে গেলে কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে যেতে পারত।’ গোল না খাওয়ার শিক্ষার পাশাপাশি সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেই হয়ত বাংলাদেশের ফুটবল পরবর্তী ধাপে উন্নীত হবে!

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর