শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নতুন উদ্যমে জাগছে মোহামেডান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন উদ্যমে জাগছে মোহামেডান

লোকমান ক্যাসিনো কান্ডে মোহামেডানের টিকে থাকা নিয়ে যেখানে শঙ্কা ছিল তারাই কিনা এবার ফুটবলে বর্ণাঢ্য দলবদল করল। সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠকদের শরীরে সাদা-কালোর জার্সি চড়িয়ে যেভাবে দলবদল কর্মসূচিতে অংশ নিল তা ফুটবলপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। এ মিলনমেলায় সবার মুখে একই সুর- জাগো মোহামেডান জাগো। সত্যিই কি ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানকে আগের রূপে ফেরানো সম্ভব? এ নিয়ে কথা হচ্ছিল মোহামেডানের ঘরের ছেলে বলে চেনা তারকা ফুটবলার বাদল রায়ের সঙ্গে। ক্লাব সদস্যসচিব লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে ক্লাব যখন ধ্বংসের মুখে তখনই বাদল রায় সংবাদ সম্মেলন করে মোহামেডানকে বাঁচানোর আহ্বান জানান।

বাদল রায় দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘অবশ্যই মোহামেডানকে জাগানো সম্ভব। আগের রূপে ফিরবেও। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন মোহামেডান উন্নয়নে। সেখানে আর দুশ্চিন্তা থাকার কথা নয়। অর্থ আত্মসাৎ করে লোকমান গংরা চেয়েছিলেন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবকে ধ্বংস করে দিতে। আমরা তা হতে দেব না। ত্যাগী সংগঠক ও সাবেক খেলোয়াড়রা এখন ঐক্যবদ্ধ। ইমতিয়াজ সুলতান জনি, কায়সার হামিদ, ছাইদ হোসেন কানন, রুম্মন ওয়ালি বিন সাব্বির, রিয়াজ, ইমতিয়াজ হোসেন নকিবরা দলকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। এমনকি ক্লাব ছেড়ে যাওয়া নন্দিত ফুটবলার আবদুল গাফফারও আমাদের সঙ্গে আছেন। যে লোকটির হৃদয়ে মোহামেডান নামটি চিরতরে লেখা হয়ে আছে, সেই বর্ষীয়ান সংগঠক মনিরুল হক চৌধুরী অভিমানে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তিনিও এখন  সোচ্চার। আছেন ফজলুর রহমান বাবুল, মোস্তাকুর রহমান, প্রিন্স আরও অনেকে। তবে বিশেষ করে বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবুর কথা না বললেই নয়। শত ব্যস্ততার মধ্যে তিনি এখানে বড় ভূমিকা রাখছেন। সত্তর ও আশির দশকে মোহামেডান পয়েন্ট হারালে বাবুকে দেখতাম ম্যাচ শেষেও মন খারাপ হয়ে গ্যালারিতে বসে আছেন। তার বাবা প্রকৌশলী ফজলুল হক খান দীর্ঘদিন মোহামেডানের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন।’ বাদল বলেন, ‘আমরা যার কাছে যাচ্ছি সহযোগিতার আশ্বাস পাচ্ছি। বর্তমান সভাপতি ওবায়দুল করিমের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শুনলাম লোকমানের আরেক কেলেঙ্কারির কথা। তিনি সভাপতি হওয়ার পর প্রথম দুই বছর ক্লাবকে ৭ কোটি টাকা দেন। অথচ লোকমান তা কখনো প্রকাশ করেননি। বলতেন, সভাপতি ক্লাবকে কোনো সহযোগিতা করছেন না। এভাবেই অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন। আমরা আইনের মাধ্যমে সে অর্থ ক্লাবের ফান্ডে আনার চেষ্টা করব। মোহামেডান এখন থেকে চলবে স্বচ্ছভাবে। লোকমান গংদের এখানে ঠাঁই হবে না।’

সর্বশেষ খবর