শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
এসএ গেমসে বাংলাদেশ

দৃষ্টি থাকবে যাদের দিকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দৃষ্টি থাকবে যাদের দিকে

আগামীকাল নেপালে পর্দা উঠছে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসের। এটি ১৩তম আসর। এর আগে ১৯৮৪ ও ১৯৯৯ সালে নেপালে সাফ গেমস হয়

আগামীকাল নেপালে পর্দা উঠছে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমসের। এটি ১৩তম আসর। এর আগে ১৯৮৪ ও ১৯৯৯ সালে নেপালে সাফ গেমস হয়। তবে এবার তা কাঠমান্ডুতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। পোখরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। কিছু ডিসিপ্লিন এখনই শুরু হয়ে গেছে। ভলিবলে পুরুষ বিভাগে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। প্রতিটি গেমসেই সর্বোচ্চ সোনা জিতে ভারত পদক তালিকায় শীর্ষে থাকে। এবারও তাদের অবস্থান অটুট থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে না ভারত। তাই বাংলাদেশের পদক বাড়ার আশা বেড়েছে। গেমস ইতিহাসে ২০১০ সালে ঢাকাতেই সর্বোচ্চ ১৮টি সোনা জিতে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ।

চিফ দ্য মিশন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপমহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেছেন, ১৮টি সোনা জয়ের রেকর্ড ভাঙা সম্ভব নয়। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে গৌহাটির গেমসের চেয়ে সোনার পদক বাড়ানো। ২০১৬ সালে ভারতের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত ১২তম গেমসে বাংলাদেশ ৪টি সোনা জিতেছিল। এর মধ্যে সাঁতার থেকেই মাহফুজা আক্তার শিলা একাই দুটি সোনার পদক পান। বাকি দুটি আসে ভারোত্তোলনে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও শুটিংয়ে শাকিল আহমেদের মাধ্যমে। মেয়েদের বিভাগে টুম্পারও পদক জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। শিলা এবার গেমসে অংশ না নিলেও মার্চপাষ্টে জাতীয় পতাকা তারই হাতে থাকবে।

অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট করে সোনা জয়ের সংখ্যা বলতে পারেনি। বলাও সম্ভব নয়। হয়তো বাড়বে, এমনকি কমে গেলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। তবে ক্রীড়াপ্রেমীদের চোখ থাকবে গুটিকয়েক ক্রীড়াবিদের দিকে। যেমন ভারোত্তোলনে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। এখন পর্যন্ত ১১টি গেমসে অংশ নিয়ে এই ইভেন্টে বাংলাদেশ সোনা জেতে মাত্র দুটি। তাও আবার একটি মাবিয়ার বদৌলতে। ২০১৬ সালে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জেতেন তিনি। এবার সেখানে ৭৬ কেজি ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছেন। এখানেই বাজিমাত করতে পারেন মাবিয়া। শুটিংয়ে আবদুল্লাহ হেল বাকি ও শাকিলের সোনা জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

এবারের এসএ গেমসে রোমান সানার নামটিই বেশি করে উচ্চারিত হচ্ছে। সাফ ও বিশ্ব আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে আশাটা বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। অনেকের মতে, সানা যদি নেপালে সোনা না জিততে পারেন তা হবে ট্র্যাজেডি। আরচারিতে আরও সম্ভাবনা আছে তবে চোখ থাকবে সানার দিকেই। দলীয় খেলা ফুটবলে এবার ভারত অংশ নিচ্ছে না। তাই রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে। শীর্ষে থাকা দুই দল সোনা জিততে লড়বে। ১৯৮৪ সালেও ভারত অংশ না নিলেও ফুটবলে প্রথম সোনা জিতেছিল স্বাগতিক নেপালই। জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এবার ফুটবলে শক্তিশালী দল গেছে। ২৩ বছর বয়সী সীমাবদ্ধ হলেও অনেকে বয়স এই কোটায় পড়ে যাওয়ায় অনেকটা জাতীয় দলই অংশ নিচ্ছে। ১৯৯৯ ও ২০১০ সালে ফুটবলে বাংলাদেশ সোনা জিতেছিল। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। অথচ এসএ গেমসে সোনা জয়টা এখনো স্বপ্ন থেকে গেছে। এখন রুপাও মেলে না। ভারত খেলছে না কাবাডিতে তাই এবার পুরুষ বিভাগে প্রথমবারের মতো সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা জাতীয় দলের অধিনায়ক মাসুদ করিম বলেছেন, ভারত না এলে আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবে পাকিস্তান। আশা করি দেশকে এবার বড় সাফল্য এনে দিতে পারব। অন্যান্য ইভেন্টেও পদক জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উল্লিখিত নামগুলোর দিকেই সবার চোখ থাকবে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ঘোষণা দিয়েছেন, এসএ গেমসে এবার যারা সোনা জিতবেন তারা পাবেন ৬ লাখ, রুপা বিজয়ীরা ৩ লাখ ও তামা বিজয়ীরা ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া দলগত ইভেন্টে পদক বিজয়ীরা পাবেন ১ লাখা টাকা করে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর