মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সেই অচেনা খেলাই এখন বাংলাদেশের গর্ব

ক্রীড়া প্রতিবেদক, নেপাল থেকে

এ এক বিরল রেকর্ড। আর তা গড়েছেন দেশের আর্চাররা। অভিজ্ঞ সংগঠক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলের হাত ধরে বাংলাদেশে এ খেলার যাত্রা। শুরুতে এ নিয়ে হাসাহাসি কম হয়নি। কেউ কেউ এ কথাও বলেছেন যে খেলা কেউ চিনে ও জানে না।। সেই খেলায় ফেডারেশন গড়া মানে অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ সেই অচেনা খেলায় এখন বাংলাদেশের গর্ব। এবার নেপাল এসএ গেমসে অন্য কোনো ডিসিপ্লিনে সোনা জয়টা নিশ্চিত না বলা গেলেও সবাই আশাবাদী ছিল আর্চারিকে ঘিরে। তবে ১০ বিভাগে ১০টিতেই সোনা জিতবে তা কেউ ভাবেনি। ভারত না থাকলেও নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানও কম শক্তিশালী নয়। অন্যরা সোনা জিতলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। বাংলাদেশের আর্চাররা বিন্দুমাত্র কাউকে ছাড় দেয়নি। দশে দশ মার্কস পেয়েছে। এক ইভেন্টে সবকটিতে সোনা জয় শুধু বাংলাদেশ নয়, সাউথ এশিয়ান গেমসে বিরল রেকর্ডও বলা যায়। আসলে আর্চারির চেহারাটা বদলে যায় জার্মান কোচ আগমনের পরই। ইসলামি সলিডারিটি, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এমনকি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও সাফল্যের পতাকা উড়ায় আর্চাররা।

২০১৭ সালে জার্মান মার্টিন হেনরিখ ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরই বলে ফেলেন আর্চারিতে অলিম্পিক গেমসেও বাংলাদেশের সোনা জেতা সম্ভব। যে অলিম্পিকে বাংলাদেশের পদকের কথা ভাবা যায় না সেখানে সরাসরি সোনার প্রত্যাশা।

মার্টিন পেশাদার কোচ যা বলেন, ভেবেচিন্তেই বলেন। এখন আর্চারি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে অলিম্পিক ঘিরে প্রত্যাশা জেগে উঠছে। রোমান সানা সেই প্রত্যাশার কথাটাই বললেন। এসএ গেমসে এ অভাবনীয় সাফল্য সামনে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। যেতে হবে বহুদূর। জানি পথটা কঠিন। তবে পরিশ্রম করলে অসম্ভবকেও সম্ভবে রূপ দেওয়া সম্ভব।

সর্বশেষ খবর