শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্বার রাজশাহী

কাপালির ঘূর্ণিতে দিশাহারা সিলেট থান্ডার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্বার রাজশাহী

বয়স ৩৫ পেরিয়ে ৩৬ ছুঁই ছুঁই। সমবয়সীদের অনেকেই খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিক ম্যান অলক কাপালি এখনো খেলছেন। শুধু খেলছেন বললে ভুল হবে, খেলছেন এবং দলকে জেতাচ্ছেন। গতকাল বিপিএলের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের তৃতীয় দিনে রাজশাহী রয়্যালসকে টানা দ্বিতীয় জয় উপহার দিয়েছেন লেগ স্পিনের মায়াবী জাদুতে। কাপালির ঘূর্ণিতে সিলেট থান্ডার গুটিয়ে যায় মাত্র ৯১ রানে। সেটা আবার রাজশাহীকে টপকে যায় ৮ উইকেট হাতে রেখে ৫৫ বল আগে। রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়ের বিপরীতে মোহাম্মদ মিথুনের সিলেট টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারল। প্রথম ম্যাচে রাজশাহী ১০৫ রানে হারিয়েছিল রংপুর রেঞ্জার্সকে।

কাপালি সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২০০৬ সালে। ওয়ানডে ২০১১ ও টি-২০ ক্রিকেটও খেলেন ২০১১ সালে। এরপর টাইগারদের খেলা দেখেছেন দর্শক হয়ে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম্যান্স করেছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারফরম্যান্স করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিচ্ছেন। গতকাল বল হাতে তিনি কখনো লেগ স্পিন, কখনো আর্মার, কখনো আবারও গুগলিতে বোকা বানিয়েছেন সিলেটের ব্যাটসম্যানদের। এরমধ্যে প্রতিপক্ষে দুই বিদেশি জনসন চার্লস ও বিজয় মেন্ডিসকে টার্নের বৈচিত্র্যে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেছেন। ম্যাচ সেরা কাপালি শেষদিকে সাজঘরে ফেরত পাঠান নাজমুল হাসান অপুকে। ৩ ওভারের স্পেলে ওয়াইড করেছেন একটি এবং ডট নিয়েছেন ১০টি। এরমধ্যে একটি করে চার ও ছক্কার মার ছিল। ৩ ওভারের স্পেলে রান দিয়েছেন ১৭টি। কাপালির সঙ্গে অবশ্য ইংলিশ অলরাউন্ডার রবি বোপারাও দারুণ বোলিং করেছেন। ৩ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১০ এবং ফরহাদ রেজা ২ ওভারে ৯ রানের খরচে উইকেট নেন ২টি। কাপালি, বোপারা, ফরহাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিলেট ১৫.৩ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ৯১ রানে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করে করেন মিথুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মোসাদ্দেক ২০ রান করেন ২১ বলে ১ চার ও সমসংখ্যক ছক্কায়।

আগের ম্যাচে ৮৪ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলা মিঠুন ২০ রান করেন ১৮ বলে ২ চারে।

সূচনা ম্যাচে বড় জয় পাওয়া রাজশাহীর টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৯২ রান। টার্গেট মামুলি হলেও শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যালসের। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলের ড্যাসিং হজরতউল্লাহ জাজাই সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত শূন্য রানে মেহেদি হাসানের বলে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৬২ রান যোগ করেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। দলীয় ৬২ রানে ব্যক্তিগত ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। ২৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার ও ২ ছক্কায়। সতীর্থ আউট হলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন লিটন। দলকে টানা দ্বিতীয় জয় উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের আক্রমণাত্মক ওপেনার। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে নিয়ে ম্যাচ শেষে করেন ১০.৫ ওভারে। শোয়েব অপরাজিত ছিরেন ১৬ রানে। আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গতকালও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন লিটন। ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংসটি খেলেন মাত্র ২৬ বলে। আশ্চর্য হলেও সত্যি, তার ইনিংসে ৭টি চার থাকলেও ছিল না কোনো ছক্কা।             

সিলেট থান্ডার : ৯১/১০ (১৫.৩ ওভার) (কাপালি ৩/১৭)। 

রাজশাহী রয়্যালস : ৯৫/২ (১০.৫ ওভার) (লিটন ৪৪*)।

ফল : রাজশাহী রয়্যালস ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : অলক কাপালি।

ঢাকা প্লাটুন : ১৮০/৭ (২০ ওভার) (তামিম ৭৪)।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১৬০/৯ (২০ ওভার) (থিসারা ৫/৩০)।

ফল : ঢাকা প্লাটুন ২০ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : থিসারা পেরেরা।

সর্বশেষ খবর