রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুশ্চিন্তায় হকি খেলোয়াড়রা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অলস সময় কাটানো নয়। রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন হকি খেলোয়াড়রা। প্রায় দুই বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগের দেখা নেই। অথচ নির্বাহী কমিটির টানা তিন সভা হয়ে গেলেও কোনো আলোচনায় হয়নি। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে লিগ মাঠে গড়াবে। এখন যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে লিগ শুরু করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। খাজা লতিফ মুন্নাকে লিগ কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। কেন এ অবস্থা? ক্যাসিনো কান্ডে জড়িয়ে কয়েকটি ক্লাব ফান্ড জোগাড় করতে পারছে না। মূলত এ কারণে লিগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্যাসিনো কান্ডে জড়িয়ে দেশ ছাড়া মমিনুল হক সাঈদ। তার অনুপস্থিতিতে মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইউসুফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীর টুর্নামেন্টের পর লিগ মাঠে গড়াবে। কিন্তু কীভাবে সম্ভব? এনিয়ে তো নির্বাহী কমিটি নীরব ভূমিকা পালন করছে। সামনে স্কুল, শহীদ স্মৃতি, স্বাধীনতা কাপ টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী টুর্নামেন্টটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলতে পারলে সামনে জুনিয়র বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। যা দেশের জন্য বড় প্রাপ্তি। অন্য টুর্নামেন্ট হোক। কিন্তু ঘরোয়া হকির সেরা আকর্ষণ প্রিমিয়ার লিগ না হলে খেলোয়াড়রা চলবে কীভাবে? এই লিগই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। সেখানে দুই মৌসুম লিগ না হলে খেলোয়াড়রা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কেউ কি ভেবে দেখেছেন। এনিয়ে খেলোয়াড়রা মুখ খুলছেন না। তবে এক খেলোয়াড় জানান, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আমরাও বসে থাকব না। অবশ্যই কর্মসূচির ডাক দেব।

হকিতে বড় এক সমস্যা ঝুলে আছে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদকে ঘিরে। ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িয়ে তিনি দেশ ছেড়েছেন।

হকির গঠনতন্ত্রে আছে টানা তিন নির্বাহী কমিটির সভায় কোনো সদস্য অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। সাঈদ তো তিন সভায় উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে তার ব্যাপারে ফেডারেশনও নীরব ভূমিকা পালন করছে কেন?

সর্বশেষ খবর