মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইতিহাস গড়া ম্যাচে পাকিস্তানের জয়

ক্রীড়া ডেস্ক

ইতিহাস গড়া ম্যাচে পাকিস্তানের জয়

ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে চেষ্টার সর্বোচ্চটাই করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেট ফিরলেও টেষ্ট ফিরেনি। সাদা পোশাকের টেস্ট ক্রিকেট ফেরাতে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে তদবির করেছে পিসিবি। ১০ বছর চেষ্টার পর সফল হয়েছে। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার উপর নারকীয় আক্রমণের পর ক্রিকেট চলে গিয়েছিল পাকিস্তান থেকে। সেই ‘দ্বীপরাস্ট্র’ ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলার পর টেস্ট ক্রিকেটও খেলেছে। এক দশক পর টেস্ট ক্রিকেট ফেরার সিরিজটি জিতে পাকিস্তান ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসকে আরও বেশি করে রাঙালো। পাকিস্তানের মাটিতে ফেরার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টটি ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। কিন্তু কোনো রকম সমস্যা হয়নি করাচি টেস্টে। অনেক রেকর্ডেও টেস্টে পাকিস্তান জিতেছে ২৬৩ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে।

রাওয়ালিপিন্ডিতে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন আবিদ আলি। এরপর করাচিতে দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন ডানহাতি এই ওপেনার। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে আবিদই প্রথম ক্রিকেটার যিনি অভিষেকের টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। আবিদের ইতিহাস গড়া টেস্টে আরও দুটি রেকর্ড হয়েছে। ১৪২ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে পাকিস্তান প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম চার ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ পেসার হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েন নাসিম শাহ। ৪৭৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নাসিমের গতি, সুইংয়ে বেসামাল হয়ে ২১২ রানে গুটিয়ে হার মানে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে ১-০ ব্যবধানে। সতীর্থদের ব্যর্থতার মধ্যেও ওশাদা ফার্নান্দো খেলেন ১০২ রানের ইনিংস। টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করে সিরিজ সেরা হন আবিদ। অবশ্য ৩৮ ও ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরাও হন তিনি।              

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান : প্রথম ইনিংস ১৯১ ও দ্বিতীয় ইনিংস, ৫৫৫/৩, ১৩১ ওভার(ডি.)

শ্রীলঙ্কা: প্রথম ইনিংস: ২৭১ ও দ্বিতীয় ইনিংস, ২১২/১০, ৬২.৫ ওভার (করুণারতেœ ১৬, ফার্নান্দো ১০২, ম্যাথিউস ১৯, ডিকভেলা ৬৫। শাহিন আফ্র্রিদি ১/৫১, আব্বাস ১/৩৩, নাসিম ৫/৩১, ইয়াসির ২/৮৪, হারিস ১/১০)।

ফল : পাকিস্তান ২৬৩ রানে জয়ী

সিরিজ : ২ ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান ১-০তে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আবিদ আলি

ম্যান অব দ্য সিরিজ : আবিদ আলি

সর্বশেষ খবর