বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সাবিনা কৃষ্ণা বসুন্ধরায় মারিয়া, মনিকা শেখ রাসেলে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্যের পতাকা উড়াবে তা স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। মেয়েরা মাঠে নামার পর কতই না তিরস্কার করা হয়েছিল। এসেছিল বাধাও। সেই মেয়েরাই এখন সুনাম কুড়াচ্ছে। এএফসি ও সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণারানী সরকার, আঁখি খাতুন, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার, মারিয়া মান্ডা, মাইনুমারমারা দেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন। সাবিনা ও কৃষ্ণারানী বিদেশের মাটিতেও লিগ খেলেছেন। এমন প্রাপ্তির পরও ঘরোয়া অঙ্গনে তারা ছিল অবহেলিত। ২০১৩ সালের পর নারী লিগ আর মাঠে গড়ায়নি। স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করতে পারছিলেন না।এবার সেই জট খুলতে যাচ্ছে। শিডিউল ঠিক থাকলে ৩১ জানুয়ারি থেকে নারী লিগ মাঠে গড়ানোর কথা। ১১-২৬ জানুয়ারি দলবদল। তবে তার আগেই ঘর গুছিয়ে নিয়েছে কিছু ক্লাব। পুরুষ পেশাদার লিগে অভিষেকে চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংস এবার প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলে অংশ নিয়ে শক্তিশালী দল গড়ছে। সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণারানী সরকার, তহুরা খাতুন, সানজিদা, মসুরাপারভীন, আঁখি খাতুন, মৌসুমি, শিউলি আজিম, লিপি, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও মাইনুমারমারা বসুন্ধরার জার্সি পরবেন তা অনেকটা নিশ্চিত। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রও পিছিয়ে থাকছে না। মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, নাজমা, সামসুন্নাহার (জুনিয়র), রূপনা চাকমা ও সাজেদাদের দেখা যাবে এই দলে।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবও শিরোপা জেতার মতোই দল গড়বে। বাকি তিন দল হচ্ছে এএফসি উত্তরবঙ্গ, বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ও নারী স্পোর্টস ক্লাব। আগে লিগ হলেও নারী ফুটবলারদের পারিশ্রমিক তেমন ছিল না। এবার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাঁচ লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটা ফুটবলের জন্য সুখবরই বলা যায়। এতে নারী ফুটবলাররা উজ্জীবিত হবেন।

সর্বশেষ খবর