শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ফেডারেশন কাপে যত অঘটন

ওয়ান্ডারার্সের চমক

১৯৮৭ সালে ফেডারেশন কাপ ফুটবলে ওয়ান্ডারার্সের ফাইনাল খেলাটা ছিল বড় চমক। ফেবারিটদের পেছনে ফেলে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলে ঐতিহ্যবাহী দলটি। আগের দুবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী সেবার সেমিফাইনাল ও খেলতে পারেনি। শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, ওয়ান্ডারার্স ও সাধারণ বীমা। ব্রাদার্সকে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ওয়ান্ডারার্স। তবে ফাইনালে ০-১ গোলে হেরে যায় মোহামেডানের কাছে। স্বাধীনতার পর এই রানার্স আপ ট্রফিটাই ওয়ান্ডারার্সের বড় প্রাপ্তি।

 

আরামবাগের তিন ফাইনাল

ফুটমাল ছাড়া ফুটবলে বড় কোনো সাফল্য নেই আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। তারপর দলটিকে জায়ান্ট কিলার বলা হয়। আরামবাগের বড় প্রাপ্তি ফেবারিটদের পেছনে ফেলে ফেডারেশন কাপে তিনবার রানার্স আপ হওয়া। ১৯৮৭ সালে ব্রাদার্সকে হারিয়ে প্রথম ফাইনালে উঠে। ফাইনালে হেরে যায় তারা। ২০০১ সালে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে ফাইনাল খেললেও জিততে পারেনি তারা। ২০১৫ সালে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেখ জামালকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে। কিন্তু শিরোপার বদলে ফের রানার্স আপেই সনতুষ্ঠ থাকতে হয় আরামবাগকে।

 

দুই প্রধান ছাড়া ফাইনাল

ফেডারেশন কাপ ফাইনালে সবচেয়ে বেশি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান। ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হওয়া আসরে হয় মোহামেডান না হয় আবাহনী ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু একুশ বছরের সেই রেকর্ড ভেঙ্গে যায় ২০০১ সালে। ইতিহাসে প্রথম-বারের মতো দুই দল ছাড়া ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মুখোমুখি হয় মুক্তিযোদ্ধা ও আরামবাগ। এরপরও আবার ২০০৫ সালে। ফাইনাল খেলে ব্রাদার্স ও মুক্তিযোদ্ধা। ২০১১ থেকে ২০১৫।

অর্থাৎ টানা চার মৌসুম আবাহনী-মোহামেডান ছাড়া ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যা ক্রীড়াঙ্গনে বিরল ঘটনায় বলা যায়।

 

প্রেম লালের হ্যাটট্রিক

মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচে হ্যাটট্রিক হয়েছে মাত্র দুবার। প্রথম হ্যাটট্রিক আবাহনীর লঙ্কান ফুটবলার প্রেম লালের। ১৯৮৬ সালে ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে প্রেম লাল হ্যাটট্রিকটি করেন। তবু নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র ছিল। পরে টাইব্রেকারে মোহামেডান হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় আবাহনী। ফেডারেশন কাপ ইতিহাস এমন উত্তেজনাকর ম্যাচ আর কখনো হয়নি। প্রথমে আবাহনী গোল করলেও মোহামেডান পরবর্তীতে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায়। পরে ব্যবধান ৪-২ হলেও প্রেম লালের হ্যাটট্রিকে ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র হয়। পরে টাইব্রেকারে জিতে যায় আবাহনী।

 

রহমতগঞ্জের প্রথম

ফেডারেশনকাপ ইতিহাসে এবারের মতো চমক আর কখনো ঘটেনি। ফেডারিটদের মধ্যে একমাত্র বসুন্ধরা কিংসই শেষ চারে জায়গা করে নেয়। ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী, সাইফের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়। এই চমকের আলোচিত নাম পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ ক্লাব। যেখানে তাদের গ্রুপ পর্ব পাড়ি দেওয়ার কথা না। সেখানে কি না প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলছে। তাও আবার কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী এবং সেমিতে মোহামেডানকে হারিয়ে। যদি চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে ফুটবল ক্যারিয়ারে রহমতগঞ্জের হবে সেরা প্রাপ্তি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর