রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
জিমে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা

স্বপ্নের ফাইনালে শিরোপা কার

বসুন্ধরা কিংস বনাম রহমতগঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বপ্নের ফাইনালে শিরোপা কার

স্বপ্নের ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। ওয়ান্ডারার্স ও আরামবাগের পর কোনো আন্ডারডগ দল ফেডারেশন কাপ ফাইনাল খেলছে। সেমিতে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও চল্লিশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ফাইনালে লড়ছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস ক্লাব। প্রতিপক্ষ  শক্তিশালী দল বসুন্ধরা কিংস। গেল মৌসুমে তারা পেশাদার লিগ ও স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও ফেডারেশন কাপে পারেনি। ফাইনালে হেরে যায় ঢাকা আবাহনীর কাছে। সুতরাং আজ যারাই জিতবে নতুন চ্যাম্পিয়নের খাতায় নাম লেখাবে। সংখ্যাটি আবার লাকি সেভেন বলা যায়। কেননা আজ সপ্তম চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলবে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় ফাইনাল শুরু হবে। মাঠ খেলার অনুপযোগী হলেও দুদলই শিরোপা জিততে জান-প্রাণ দিয়ে লড়বে। কথা হচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন কে হবে? বসুন্ধরা কিংস না রহমতগঞ্জ। শক্তির বিচারে শুধু ফেবারিট বললে ভুল হবে, ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও বেশি কিংসের। তবে ফাইনালে আবার কাউকে ফেবারিট মানাটাও ঠিক হবে না। টেনশনের লড়াইয়ে যে কোনো ফল হতে পারে। রহমতগঞ্জ নকআউট পর্বে যাবে এ ধারণা কারোর ছিল না। অথচ সেই দল কিনা শিরোপার স্বপ্ন দেখছে। ফেডারেশন কাপ ইতিহাসের সেরা দুই দল ঢাকা আবাহনীকে কোয়ার্টার ও মোহামেডানকে সেমিতে হারিয়ে ফাইনাল খেলছে রহমতগঞ্জ। অন্যদিকে প্রথম দিকে কিছুটা এলোমেলো হলেও সেমিফাইনালে কিংস কিং রূপেই পুলিশকে হারিয়েছে।

কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন বলেন, ‘ফাইনাল যখন খেলছি তখন লক্ষ্য একটাই শিরোপা। তবে প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জকে গুরুত্ব দিচ্ছি। হতে পারে তাদের দলে কোনো তারকা ফুটবলার নেই। কিন্তু ফেডারেশন কাপে তা বুঝতে দেয়নি। আমি বলব তারাও শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে। বসুন্ধরাকে জিততে হলে সেরাটাই দিতে হবে। কোনো ভুল করা যাবে না।’ অস্কার প্রতিপক্ষ কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। ‘ওর কৌশল ও টেকনিক ভালো লেগেছে। দলকে সমন্বয় করে খেলাতে পেরেছেন যা একজন কোচের বড় গুণ।’

জিলানী বলেন, ‘ম্যাচে অবশ্যই বসুন্ধরা ফেবারিট। স্থানীয়সহ বিশ্বমানের তারকা খেলোয়াড়ও রয়েছে। সত্যি বলতে কি রহমতগঞ্জ ফাইনাল খেলবে কোচ হিসেবে আমিও ভাবিনি। এই কৃতিত্ব ছেলেদের। ওরা দারুণ খেলেছে। ফাইনালের আগে ওদের বুঝিয়েছি আমাদের হারানোর কিছু নেই। টেনশন মুক্ত হয়ে খেল। দেখবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা যাবে।’ বসুন্ধরা ও রহমতগঞ্জ গতকাল হালকা ওয়ার্মআপ করেছে। অনুশীলনে নেমে কেউ ঝুঁকি নিতে চায়নি। উৎসবের জন্য প্রস্তুত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। প্রস্তুত পুরান ঢাকার ডালপট্টিও। এখন নতুন বছরে কে নতুন চ্যাম্পিয়ন হবে সেটাই অপেক্ষা।

 

সর্বশেষ খবর