মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ট্রেবলে চোখ বসুন্ধরা কিংসের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ট্রেবলে চোখ বসুন্ধরা কিংসের

অভিষেক আসরে বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব ক্লাব বসুন্ধরা কিংস পেশাদার লিগ ও স্বাধীনতা কাপ জিতে নতুন এক ইতিহাস গড়ে। ১৯৪৮ সালে ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের যাত্রা। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং। প্রথম আসরে এক দল চ্যাম্পিয়ন হবে এটাই স্বাভাবিক। সেই আসরকে তো আর কোনো ক্লাবের অভিষেক বলা যায় না। সেক্ষেত্রে বসুন্ধরা কিংসই এগিয়ে। গেল মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাদের অভিষেক হয় পেশাদার লিগে। প্রথম আগমনেই লিগ ও স্বাধীনতা কাপ জিতে। এই ইতিহাস লিখেছে শুধু কিংসই। এত বড় গৌরবের পরও নবাগত দলটির আক্ষেপ থেকে যায়। মৌসুমের প্রথম ট্রফি ফেডারেশন কাপে ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি, হলে অভিষেক আসরে তিনটি ট্রফি জিতে বিরল এক রেকর্ড গড়তো।

যাক আক্ষেপটা শেষ হয়ে যায় স্বল্প সময়ের মধ্যে। এক মৌসুম পরই কিংস ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘরে তুলেছে। এ আরেক ইতিহাসও বটে। অভিষেকের এক বছরের মাথায় তিন তিনটি ট্রফি জিতেছে কিংস, যা অন্যরা পারেনি। কোনো ক্লাব শক্তিশালী দল গড়লেই সাফল্য পাবে, তা ভাবাটা ভুল হবে। এর জন্য দরকার দক্ষ ম্যানেজমেন্ট, পরিবেশ ও কমিটমেন্ট রক্ষা করা। পেশাদারিত্বের যুগে কিংস এসব শর্ত পুরোপুরি পূরণ করছে বলেই অল্প দিনেই দলটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগে আলোচনা চলত মোহামেডান-আবাহনীকে ঘিরে। এখন কিংসের নামও উচ্চারিত হচ্ছে দর্শকদের মুখে মুখে।

নামের সঙ্গে মিল রেখেই এগিয়ে চলেছে বসুন্ধরা কিংস। ফুটবলে নতুন কিং হয়ে উঠেছে কিংস। এবার মৌসুম শুরু করেছে শিরোপা দিয়ে। শেষটাও চায় বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে। বসুন্ধরার মতো দল তো আর এক শিরোপায় সন্তুষ্ট থাকবে না। তাদের চোখ আরও দূরে। পেশাদার লিগ ও স্বাধীনতা কাপ রয়েছে। এ দুই শিরোপা ধরে রাখতে পারলে এক মৌসুমে তিন ট্রফি যাবে বসুন্ধরার ঘরে। এই কৃতিত্ব রয়েছে মোহামেডান ও শেখ রাসেলের। দলটি যখন বসুন্ধরা কিংস, তখন এ কাজটি মোটেই কঠিন নয়।

সত্যি বলতে কি, ট্রেবল চ্যাম্পিয়নের দিকেই চোখ এখন কিংসের। তারপর আবার আছে এএফসি কাপ। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে বসুন্ধরা কিংস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ এক বড় চ্যালেঞ্জই বলা যায়। ফেডারেশন কাপের শিরোপা সামনে নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করবে কিংস ফুটবলারদের। ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আমরা শুধু নিজ সাফল্য নয়, ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছি। ফেডারেশন কাপ নয়, আমাদের টার্গেট প্রতিটি ট্রফি ঘরে তোলা। এরপর আবার এএফসি কাপ। আমরা সামনের দিকে চোখ ফেলে রেখেছি। সব অসম্ভবই আমাদের পক্ষে সম্ভব তা প্রমাণ করতে চাই।’

নামের সঙ্গে মিল রেখেই এগিয়ে চলেছে বসুন্ধরা কিংস। ফুটবলে নতুন কিং হয়ে উঠেছে কিংস। এবার মৌসুম শুরু করেছে শিরোপা দিয়ে। শেষটাও চায় বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে। বসুন্ধরার মতো দল তো আর এক শিরোপায় সন্তুষ্ট থাকবে না। তাদের চোখ আরও দূরে। পেশাদার লিগ ও স্বাধীনতা কাপ রয়েছে। এ দুই শিরোপা ধরে রাখতে পারলে এক মৌসুমে তিন ট্রফি যাবে বসুন্ধরার ঘরে।

কোচ অস্কার ব্রুজোন বলেন, ‘এএফসি কাপের সঙ্গে কারও তুলনা চলে না। তবে আমি বিশেষ করে জোর দিচ্ছি লিগ ও স্বাধীনতা কাপে। তিনটি ট্রফি জেতা মানে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ওঠা, যা পরবর্তীতে আমরা কাজে লাগাতে পারব।

গতবারের চেয়ে এবার আরও শক্তিশালী দল গড়েছে। ড্যানিয়েল কলিনড্রেস বিকল্পহীন, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সভাপতি এবং কোচও স্বীকার করেছেন, তিনি দলের চালিকাশক্তি। এরপরও আছে বখতিয়ার, নাজারভ ও নিকোলাসের মতো নির্ভরযোগ্য বিদেশিরা। লিগ খেলতে উড়ে আসছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী। স্থানীয়দের উজ্জীবিত করেছেন দলের বিশ্বনাথ। ফাইনালে বিদেশিদের টপকিয়ে ম্যাচে ফেরার পুরস্কার জিতেছেন। তারপরও বসুন্ধরা আত্মবিশ্বাসে ভুগছে না। তারা জানে লিগটা হবে বড্ড কঠিন। ছোটরাও বড়দের ছেড়ে কথা বলবে না। তাই সতর্কতার সঙ্গে ভুলত্রæটি সংশোধন করেই মাঠে নামবে ফুটবল কিং বসুন্ধরা কিংস।

সর্বশেষ খবর