মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বিতর্কিত রেফারিংয়ে তোলপাড়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিতর্কিত রেফারিংয়ে তোলপাড়

২৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপে ‘সি’ গ্রুপে শেখ জামাল ও সাইফ স্পোর্টিং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়। যারা হারবে তারাই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবে। ড্র হলে শেখ জামালের শেষ আট নিশ্চিত হতো। প্রথমে গোল করে এগিয়ে থাকে লিগ ও ফেডারেশন কাপের তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। পরে ম্যাচে সমতায় ফিরে সাইফ। ৮৫ মিনিটে ঘটে অবাক করা ঘটনা। শেখ জামালের অধিনায়ক মানডে নিজেদের ডি-বক্সে বুকে ঠেকিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে রেফারি আনিসুর রহমান পেনাল্টি ধরেন। বিতর্কিত সিদ্ধান্তে গোল করে ব্যবধান ২-১ করে সাইফ। পরে তারা আরেকটি গোল করে। ডি-বক্সে বল যে মানডের হাতে লাগেনি তা প্রেস-বক্স থেকেও বোঝা যাচ্ছিল। পরের দিন রেফারিজ বোর্ডের একজন সদস্যও বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে স্বীকার করেন ভিডিও ফুটেজ বার বার দেখে নিশ্চিত হয়েছি ওটা পেনাল্টি ছিল না। বল পরিষ্কার মানডের বুকে লাগে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা এটাও বলেন এত বড় ভুল সিদ্ধান্তের জন্য রেফারি আনিসুরের শাস্তি হবে। শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার আবার বাফুফের। অথচ শাস্তির বদলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ২৯ ডিসেম্বর শেখ জামালের সচিব মো. ফয়েজুর রহমানকে চিঠি দিয়ে জানান রেফারিজ রিপোর্টে আপনাদের ফিজিও ট্রেনার মো. হাসান আল মামুনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সুতরাং কেন আর্থিক জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হবে না তা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে হবে। শেখ জামাল আর দেরি করেননি, ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বরাবর চিঠি দেন। তিনি লিখেন রেফারি পক্ষপাতিত্ব বাঁশি বাজানোর পরও বাফুফে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বল যে মানডের হাতে লাগেনি তা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রতিবেদনে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে রেফারি কার ইন্ধনে ইচ্ছাকৃতভাবে পেনাল্টি দিল? এর বিচার অবশ্যই করতে হবে।

 কাদের এটাও জানিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুটবল উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন। সেখানে এই নোংরামির খেলা হচ্ছে কাদের ইন্ধনে। রেফারির বিরুদ্ধে শাস্তি না ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত শেখ জামাল লিগ খেলবে কিনা এটাও ভাবছে তা চিঠিতে জানিয়ে দেন। 

সর্বশেষ খবর