বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

রহমতগঞ্জের হঠাৎ জেগে ওঠা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রহমতগঞ্জের হঠাৎ জেগে ওঠা

যে মানের দল তাতে ফেডারেশন কাপে রহমগঞ্জের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার কথা। সেখানে কিনা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। শুধু কি তাই সৈয়দ গোলাম জিলানির দক্ষ প্রশিক্ষণে কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী ও সেমিফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়েছে। ফাইনালে হারলেও বসুন্ধরার বিপক্ষে সমান তালে লড়েছে। বিগ বাজেটের দলগুলোকে পেছনে ফেলে রহমতগঞ্জ ফাইনালে উঠেছে। যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছে তাতে যেন নতুন রহমতগঞ্জের দেখা মিলেছে। আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু ফুটবলার হিসেবে তারকার খ্যাতি বা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আবাহনীতে খেলেই। কিন্তু ঢাকা ফুটবলে তার ক্যারিয়ারটা শুরু হয় রহমতগঞ্জ থেকেই। ১৯৭৪ সালে ঢাকা আবাহনী লিগে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়। অথচ একমাত্র ম্যাচটি হারে রহমতগঞ্জের কাছে। গোলটা করেন চুন্নুই। সেই চুন্নু বললেন, ‘ফেডারেশন কাপে রহমতগঞ্জের পারফরম্যান্স দেখে আমি অভিভূত। বসুন্ধরা যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে রহমতগঞ্জ বুঝিয়ে দিয়েছে আসছে লিগে এবার কাউকে ফেবারিট ভাবাটা ভুল হবে। বড় বা ছোট বাজেটের দল শক্তির দিক দিয়ে খুব যে একটা পার্থক্য নেই তা ফাইনাল খেলে রহমতগঞ্জ প্রমাণ করেছে।’ শুধু চুন্নু কেন, রহমতগঞ্জ থেকে অনেক তারকা ফুটবলারই খেলেছেন। সত্যি বলতে কি সঠিকভাবে এই পরিসংখ্যানটা তুলে ধরাও মুশকিল।এতে আছেন গোলরক্ষক মোত্তালেব, মঈন, রাহুল। খেলেছেন স্কুটার খ্যাত আবদুল গফুর, সুলতান, তমিজ, সালেহ, বড় নাজির, মো. মালা, আশিষ ভদ্র, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, আবু ইউসুফ, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, কায়সার হামিদ এমনকি শামসুল আলম মঞ্জু, মনোয়ার হোসেন নান্নু ও এনায়েতুর রহমান ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এই দলে খেলেছেন। বর্তমানে জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবনের পরিচয় এসেছে এখান থেকে। ফুটবলার গড়ার কারিগরের দল এবার ফেডারেশন কাপের পারফরম্যান্সে রহমতগঞ্জ মনে করিয়ে দিচ্ছে নতুন এক রহমতগঞ্জের যেন আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এখন শুধু সামনের অপেক্ষা।

সর্বশেষ খবর