সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ

দুই ম্যাচ হেরে বসে আছে। পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই না হলেও আহামরি নয়। টি-২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আজ। মানসম্মান বাঁচানোর ম্যাচ। আবার হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোরও। খাঁদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদুল্লাহ, তামিমরা কি পারবেন লজ্জা এড়িয়ে জয় নিয়ে দেশে ফিরতে? সময় বলবে। অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচের যে পারফরম্যান্স, তাতে স্বপ্ন দেখা অনেকটাই অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া হিমালয় পাড়ি দেওয়ার শামিল! তারপরও অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট বলেই স্বপ্ন দেখা যায়। তবে স্বপ্ন পূরণের নায়করা কতটা প্রস্তুত লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জয়ের অনাস্বাদিত আনন্দে ভাসাতে।      

স্কোয়াডে ওপেনার একজন নয়, সাতজন। তামিম ইকবাল অটোমেটিক চয়েজ। নতুন বলে তার সঙ্গী হতে পারেন মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত। বঙ্গবন্ধু বিপিএল খেলে এরা সবাই দারুণ ছন্দে, ফর্মের শিখরে। টিম ম্যানেজমেন্ট যে কারোর উপরে আস্থা রাখতেই পারেন। নিরাপত্তার চাদরে ছেয়ে থাকা সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নতুন বলে তামিমের সঙ্গী ছিলেন তরুণ নাঈম। প্রথম ম্যাচে ৪৩ রান করলেও বেমানান ছিল টি-২০ ক্রিকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলেই ফিরেন সাজঘরে। তৃতীয় ম্যাচে পরিবর্তন আসতেও পারে! লিটন কিংবা নাজমুল শান্তকে ওপেন করতে নামলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ইনজুরিতে পড়ায় সৌম্যর খেলার সম্ভাবনা নেই আজ। তার জায়গায় খেলতে পারেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকানো শান্ত। সে ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে নাঈমের ব্যাটিং অর্ডারও।

প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করেও হেরেছিল ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও করুণ হার, ৯ উইকেটে। দুই ম্যাচের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে সমালোচিত টিম ম্যানেজমেন্ট। উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত স্কোর উজ্জ্বল হলেও দলের প্রয়োজনে লাগছে না। প্রথম ম্যাচে নাঈম ৪৩ রান করেন ৪১ বলে। টি-২০ ম্যাচে যেখানে ২০০ রান তাড়া করে জিতছে দলগুলো। সেখানে এমন স্ট্রাইক বড্ড বেমানান। তামিম ৩৯ রান করলেও বল খেলেছেন ৩৪টি। দ্বিতীয় ম্যাচে টি-২০   ক্যারিয়ারের ১৬ নম্বর হাফসেঞ্চুরি করলেও ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, পরের ম্যাচে তামিম যেন আরও আগ্রাসী হন, ‘তামিম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফিরে ছন্দে ফিরেছে। এটা ভালো দিক। তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে আরও আগ্রাসী হতে হবে। ৫৩ বলে ৬৫ নয়, ৮০ রান করা উচিত।’     

প্রথম ম্যাচে ওপেনারদের জুটি ৭১ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ। ওপেনাররা রান করলেও মিডল অর্ডারে রান নেই। আফিফ ৯ ও ২১ রান করেন। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৮ ও ১২ রান, অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে ১৯* ও  ১২ রান আসে। এতেই পরিষ্কারভাবে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের অভাব বুঝা গেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের পর মিডিয়ার মুখোমুখিতে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ‘মুশফিক ও সাকিবের অভাব পরিষ্কারভাবে বুঝা গেছে ম্যাচে। তাদের অভিজ্ঞতার অভাব বুঝা গেছে।’ পারিবারিক কারণে মুশফিক পাকিস্তান সফর করেননি। নিষিদ্ধ বলে এক বছরের জন্য ক্রিকেটের বাইরে সাকিব।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ আজ। মান বাঁচানোর ম্যাচটিতে আজ একাধিক পরিবর্তন আসতে পারে একাদশে। অভিষেক হতে পারে হাসান মাহমুদের। দুই ম্যাচে ৭ ওভারে ৬৯ রান দেওয়া মুস্তাফিজকে বিশ্রামও দেওয়া হতে পারে। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর