বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কাল শুরু রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কাল শুরু রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

এক কিংবা দুই বছর নয়, ১৬ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল ২০০৩ সালে। মুলতান টেস্টের পর আরও বেশ কয়েকবার পাকিস্তান সফর করেছে টাইগাররা। ওয়ানডে ও টি-২০ খেলেছে। কিন্তু টেস্ট খেলেনি। গত মাসে অবশ্য তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলে এসেছে লাহোরে। এই সিরিজ দিয়ে এক যুগ পর দেশটিতে সফর করেছে ক্রিকেটাররা। দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলতে গতকাল সকালে রাজধানী ইসলামাবাদে পা রাখে মুমিনুল বাহিনী। উঠেছে ম্যারিয়ট হোটেলে। আগামীকাল সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে। ইসলামাবাদের এই প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে সাদা পোশাকে খেলেছে মুলতানে ২বার এবং একবার করে করাচি ও পেশোয়ারে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট আগামী এপ্রিলে করাচিতে।

টাইগাররা টি-২০ সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বিশেষ বিমানে। এবার অবশ্য ইসলামবাদে পা রাখে কাতার এয়ারওয়েজে। পরশু সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে গতকাল সকালে পৌঁছায় ইসলামাবাদে।

 সেখান থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় হোটেলে পৌঁছান মুমিনুল, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। আজ রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামবে মুমিনুল বাহিনী।

রাওয়ালিপিন্ডি স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেক ১৯৯৩ সালে। গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ মিলিয়ে সংখ্যা ৯টি। আশ্চর্য হলেও সত্যি স্বাগতিকদের জয়, পরাজয় ও ড্রয়ের সংখ্যা সমান ৩টি করে। পাকিস্তান হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে ৫২ রানে, নিউজিল্যান্ডকে ইনিংস ও ১৩ রান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ২৯ রানে। হেরেছে  অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ৯৯ রান, শ্রীলঙ্কা ও উইকেটে এবং ভারতের কাছে ইনিংস ১৩১ রানে। ড্র করেছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই মাঠে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৬০০, ভারতের। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রাহুল দ্রাবিড়ের ২৭০। সেরা বোলিং পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ জাহিদের ৬৬ রানে ৭ উইকেট।

পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলে ২০০১ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। মুলতানে টেস্টটিতে হেরেছিল ইনিংস ও ২৬৪ রানে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৩৪। জবাবে  স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে ৫৪৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৪৮ রানে। ২০০৩ সালের সফরটি ছিল দেশের বাইরে সেরা পারফরম্যান্স। করাচিতে প্রথম টেস্টে হেরেছিল ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৮৮ ও ২৭৪। হাবিবুল বাশার খেলেছিলেন ৭১ ও ১০৮ রানের ইনিংস। পেশোয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লুর ১১৯ রানে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৬১। পাকিস্তান করেছিল ২৯৫। ৬৬ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৯৬। ম্যাচটি পাকিস্তান জিতেছিল ১ উইকেট হারিয়ে। মুলতানে জয়ের অবস্থানে থেকেও ইনজামাম উল হকের অতিমানবীয় সেঞ্চুরিতে হেরে যায় ১ উইকেটে। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৮১ ও ১৫৪ এবং পাকিস্তানের স্কোর ছিল ১৭৫ ও ৯ উইকেটে ২৬২।

স্বল্প প্রস্তুতি নিয়ে মুমিনুলরা পাকিস্তান গেছেন টেস্ট খেলতে। এখন কতটা ভালো খেলেন, সেটাই দেখার বিষয়।                     

সর্বশেষ খবর