শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

পিন্ডিতে পেসেই ভয় মুমিনুলদের

পাকিস্তানের সুখকর ভেন্যু নয় রাওয়ালপিন্ডি। স্টেডিয়ামটির টেস্ট অভিষেক ১৯৯৩ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট মিলিয়ে সংখ্যা ৯টি। স্বাগতিকদের জয়, পরাজয় ও ড্রয়ের সংখ্যা সমান ৩টি করে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পিন্ডিতে পেসেই ভয় মুমিনুলদের

টেস্ট ক্রিকেটে দেশের বাইরে খুব বেশি সাফল্য নেই বাংলাদেশের। কড়ে আঙ্গুলে গোনা যায়। হার-জিত-ড্র সব মিলিয়ে দেশের বাইরে টাইগারদের সেরা পারফরম্যান্স ধরা হয় মুলতান টেস্টকে। মুলতান আবার সবচেয়ে বড় দুঃখেরও নাম। ১৭ বছর আগে ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে জয়ের উপলক্ষ তৈরি করে নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ, মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশাররা। কিন্তু মুলতানের ‘সুলতান’ ইনজামাম-উল হক একাই পাশার দান উল্টে দিয়েছিলেন অতিমানবীয় ব্যাটিং করে। পাকিস্তানের মাটিতে এখন পর্যন্ত টাইগারদের ওটাই শেষ টেস্ট। এরপর দীর্ঘ সময় পাকিস্তানের মাটিতে আর টেস্ট খেলেনি। ১৬ বছর পর আজ টেস্ট খেলতে নামছে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে। টেস্টটিকে ঘিরে সাজ সাজ রব ছবির মতো সুন্দর রাজধানী ইসলামাবাদ। দীর্ঘদিনের বন্ধ্যত্ব ঘুচিয়ে নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে প্রস্তুত মুমিনুল, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহরা। তাদের প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবেন পাকিস্তানের দুই পেসার শাহীন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আব্বাস। অবশ্য প্রতিপক্ষ হিসেবে বাধা হবেন আবিদ আলী, আজহার আলী, বাবর আজমরাও।

পাকিস্তানের সুখকর ভেন্যু নয় রাওয়ালপিন্ডি। স্টেডিয়ামটির টেস্ট অভিষেক ১৯৯৩ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট মিলিয়ে সংখ্যা ৯টি। স্বাগতিকদের জয়, পরাজয় ও ড্রয়ের সংখ্যা সমান ৩টি করে। পাকিস্তান হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। হেরেছে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কাছে এবং ড্র করেছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গত ডিসেম্বরে সর্বশেষ টেস্টটি ড্র হয়েছে। এই মাঠে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৬০০, ভারতের। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রাহুল দ্রাবিড়ের ২৭০। সেরা বোলিং পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ জাহিদের ৬৬ রানে ৭ উইকেট। স্পিনারদের তুলনায় মাঠটিতে পেসারদের সাফল্যই বেশি। উইকেটে গতির সঙ্গে বাড়তি বাউন্সও রয়েছে। সে জন্যই টাইগার ব্যাটসম্যানদের জোর লড়াই করতে হবে স্বাগতিক পেসারদের বিপক্ষে। অবশ্য লেগ স্পিনার

ইয়াসির শাহকেও সামলাতে হবে মুমিনুলদের। তবে রান করার সুযোগ রয়েছে মুমিনুলদেরও। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের মাটিতে চার টেস্ট খেলে হেরেছে সবগুলোতেই।

গত মাসে লাহোরে টি-২০ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের পর পাকিস্তান সফর করে টাইগাররা। এক যুগ পর খেললেও পারফরম্যান্স আহামরি ছিল না। পারিবারিক কারণে টি-২০ সিরিজ খেলেননি মুশফিকুর রহিম। নিষিদ্ধ বলে দলে নেই সাকিব আল হাসান।

সর্বশেষ খবর