রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দৃষ্টিজুড়ে আজ ওরা ১১

যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে আজ ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনাল খেলতে নামছে টাইগার যুবারা। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। আজ দেশবাসীর দৃষ্টিজুড়ে থাকবেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১১ ক্রিকেটার। যুবাদের নিয়ে লিখেছেন- মেজবাহ্-উল-হক

দৃষ্টিজুড়ে আজ ওরা ১১

আকবর আলী (অধিনায়ক)

২০১৬ সালে মেহেদী হাসান মিরাজের বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে উঠলেও ফাইনালে খেলতে পারেননি। তাই দেশকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে অধিনায়ক আকবরও যেন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। আজ আকবরের মহানায়ক হওয়ার দিন। ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ!

রকিবুল হাসান (স্পিনার)

স্পিনে জাদু দেখিয়ে প্রথম থেকেই নজর  কেড়েছেন ময়মনসিংহের এই তরুণ ক্রিকেটার। গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন। সেমিতেও প্রথম তিন ওভার মেডেন করে তার ভয়ঙ্কর রূপের ঝলক দেখিয়েছেন। আজ ফাইনালে ভারতের ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্ক হতে পারেন এই স্পিনার। 

মাহমুদুল হাসান জয় (ব্যাটসম্যান)

যেমন ফিল্ডার তেমন ব্যাটসম্যান। সেমিফাইনালেই নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছেন। ফিল্ডিংয়ের জন্য অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিয়েছেন। তারপর সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন স্বপ্নের ফাইনালে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা এই ব্যাটসম্যান ফাইনালেও নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন।

তৌহিদ হৃদয় (ব্যাটিং অলরাউন্ডার)

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মিডলঅর্ডারে ভরসা হচ্ছেন এই হৃদয়। এক কথায় দলের নিউক্লিয়াসও বলা যায়। কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন, সেমিফাইনালেও তার ব্যাট থেকে এসেছে মূল্যবান ৪০ রান। যুব দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতীভাধর বলা হয় বগুড়ার এই ক্রিকেটারকে।

শরিফুল ইসলাম (পেসার)

আগ্রাসনের জন্য এবারের যুব বিশ্বকাপে আলাদা করে নিজের পরিচিতি তুলে ধরতে পেরেছেন পঞ্চগড়ের এই পেসার। তার বলে যেমন গতি, তেমন বাউন্স। ভারতের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ভরকে দিতে শরিফুলের গতিই রাখতে পারে বড় ভূমিকা। স্লগ ওভারেও বোলিংয়ে ভরসা ১৮ বছর বয়সী এই পেসার।

তানজিম হাসান সাকিব (পেসার)

বয়সে বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে তরুণ ক্রিকেটার। বয়স মাত্র ১৭। কিন্তু সিলেটের এই পেসারের নিখুঁত লাইনলেন্থের জন্য আলাদা করে নজর কেড়েছেন। ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসারই হতে পারেন ভারতের বিরুদ্ধে আজ তুরুপের তাস।

 তানজিদ হাসান তামিম (ওপেনার)

জাতীয় দলের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে কেবল নামেই মিল নয়, বাটিং স্টাইলও অনেকটা একই রকম। তানজিদ তামিমও বাঁহাতি। কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তার ৮০ রানের ইনিংসটি ছিল অসাধারণ। আজ তামিমের ব্যাটে ঝলমলে স্ট্রোক দেখতে চায় সমর্থকরা।

পারভেজ হোসেন ইমন (ওপেনার)

দারুণ ব্যাটিং করেন ইমন। ওপেনিংয়ে তিনি তামিমকে দারুণ সঙ্গ দেন। গ্রুপ পর্বে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে অপরাজিত ৫৮ রানের দারুণ একটি ইনিংস আছে তার। যদিও এরপর আর কোনো বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। কে জানে হয়তো ফাইনালেই দেখা যাবে ইমনের আসল ক্যারিশমা!

শামীম হোসেন (অলরাউন্ডার)

বাংলাদেশ দলের তারকা অলরাউন্ডার। বেশ স্টাইলিস্ট। ডান হাতি স্পিনের পাশাপাশি বাঁ হাতে দারুণ ব্যাটিংও করেন তিনি। ব্রেক থ্রু দিতে ওস্তাদ। যদিও এখনো ব্যাট হাতে তাকে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি। তবে বল হাতে নিয়ে তিনি প্রায় প্রতি ম্যাচেই সফল হচ্ছেন।

শাহাদত হোসেন দিপু (ব্যাটিং অলরাউন্ডার)

কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে দুরন্ত ছিলেন শাহাদত হোসেন দিপু। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ৭৪ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নটআউট ৪০। মজার বিষয় হচ্ছে, তিনি এ পর্যন্ত যে তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে বাইশগজে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিন ম্যাচেই অপরাজিত।

হাসান মুরাদ (স্পিনার)

শেষ ম্যাচে বোলিংয়ে সবচেয়ে কিপটে ছিলেন স্পিনার হাসান মুরাদ। ৩৪ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। কোয়ার্টার ফাইনালেও ৯ ওভার বল করে দিয়েছিলেন মাত্র ২৬ রান। আজ ফাইনালে আরেকবার তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জাদু দেখার অপেক্ষা। 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর