বুধবার, ৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

যেখানে হাফিজ আসলাম এগিয়ে

আবাহনী-মোহামেডান- মুখোমুখি আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

যেখানে হাফিজ আসলাম এগিয়ে

কথাটি শুনেই হেসে উঠলেন গোলাম সারোয়ার টিপু। বললেন, তাই নাকি! আগামীকাল (আজ) আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। এরপরই আক্ষেপ করে বললেন, ‘দেখ ফুটবলের দুদর্শা। একসময় ফিকশ্চার তৈরি হলেই সমর্থকরা ক্লাবে ভিড় জমাতেন দুই দলের ম্যাচের তারিখ দেখতে। এখন তো আমিই জানি না দুই দলের ম্যাচ কবে? কেননা ম্যাচের উত্তাপ কি আছে? আবাহনী শক্তিশালী দল গড়লেও মোহামেডান তো প্রায় হারিয়ে গেছে। তাই গ্যালারিও থাকছে ফাঁকা। টিপু ক্যারিয়ারে অধিকাংশ সময় মোহামেডানে কাটালেও তিন বছর আবাহনীতেও খেলেন। তারই নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালে ঢাকা আবাহনী ফুটবল লিগে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়।

আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পেশাদার লিগে আবাহনী-মোহামেডান মুখোমুখি হবে। ১৯৭৩ সাল থেকে দুই দল ৭৬ বার লিগে লড়েছে। দুই  দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেই টিপুর কাছে অনেক কিছুই জানতে চাওয়া হয়। ফুটবল গোলের খেলা। তাই স্ট্রাইকারদের পারফরম্যান্সটা এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। টিপু বলেন, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, কাজী সালাউদ্দিন, বাদল রায়, সালাম মুর্শেদী, শেখ মো. আসলাম এরাই দুই দলে সুনামের সঙ্গে খেলে গেছেন। তবে দুই দলের ম্যাচের পারফরম্যান্স তুলনা করলে হাফিজ ও আসলামকে এগিয়ে রাখব। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ। তার মতে, হাফিজ ক্যারিয়ারে শেষের দিকে আবাহনীর বিপক্ষে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি। ১১ ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে হাফিজ ৭ গোল করেন। ১৯৭৬ সালে লিগ ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে হাফিজের দেওয়া জোড়া গোলের ভূয়সী প্রশংসা করেন টিপু। তার মতে, একজন স্ট্রাইকারের যেসব গুণাবলী থাকা দরকার তা সবই ছিল হাফিজের মধ্যে।

হাফিজ যেমন আবাহনীর বিপক্ষে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতেন। তেমনি শেখ মো. আসলামও। দুদলেই তার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে তার তারকার খ্যাতি এসেছে আবাহনী থেকেই। ১৫ ম্যাচ খেলেছেন মোহামেডানের বিপক্ষে। কমপ্লিট স্ট্রাইকার বলতে যা বোঝায় তার পুরোটাই আসলাম মাঠে তুলে ধরতেন মোহামেডানের বিপক্ষে। ছয়টি গোল আছে তার সাদা-কালোর বিপক্ষে। তবে ১৯৮৪ সালে তার দেওয়া দুটো গোলই ছিল অসাধারণ। টিপুর মতে, হাফিজ ও আসলাম দুজনই ছিলেন দুই দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়।

সর্বশেষ খবর