মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এর আগে দুই দলের ১১ বারের মোকাবিলায় বাংলাদেশের জয় ৭, জিম্বাবুয়ের জয় ৪। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এবার টাইগারদের সামনে টি-২০ চ্যালেঞ্জ। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-
টি-২০ সিরিজে চ্যালেঞ্জ...
চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। যার সঙ্গেই খেলেন না কেন? যেহেতু আমরা টেস্ট সিরিজ ও ওয়নাডে সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তারপরেও আমার মনে হয় টি-২০তে জিম্বাবুয়ে বেশ শক্তিশালী একটি দল। তাদের ব্যাটিং অর্ডার বেশ ভালো আছে। আমাদেরও খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের ইতিবাচক মাইন্ডসেট নিয়ে আসতে হবে। কারণ আমরা যদি সহজভাবে নেই, আমাদের জন্য খারাপ হবে।
দলের ব্যাটিং কৌশল নিয়ে...
কৌশলগত দিক নিয়ে কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি বেশ পরিষ্কার। আমি কি চাচ্ছি, কোচ কি চাচ্ছে? আশা করি যারা খেলবে তারা পজিশন অনুযায়ী খেলবে। যেহেতু সাইফউদ্দিন ঢুকেছে আমার মনে হয় দলের অবস্থা আগের চাইতে ভালো। একজন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ওর ভূমিকাটা অনেক বেশি। আমার মনে হয় সাইফুদ্দিন ঢোকাতে আমাদের জন্য আরও সহজ হবে।
লিটনের ব্যাটিং সম্পর্কে...
আপনি লিটনের সামর্থ্য সম্পর্কে জানেন। ও যেভাবে ব্যাটিং করেছে, দেখে খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি সামনেও এভাবেই ব্যাটিং করে যাবে।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলের কৌশল...
আমি সবসময় যা বিশ্বাস করি প্লেয়ারদের কাছ থেকে ওই বিশ্বস্ততা পেতে, ওরাও যেন অধিনায়ক হিসেবে আমাকে বিশ্বাস করতে পারে। কারণ টি-২০ ফর্মেটটা এমন যে এক দুটা ম্যাচ হয়ত খারাপ হতে পারে। তার মানে এই না সে অনিশ্চয়তা বোধ করবে। আমার মনে হয় যে অধিনায়ক হিসেবে আমার একটি দায়িত্ব আছে। যাতে করে তারা নিশ্চয়তা বোধ করে এবং স্বাধীনত নিয়ে খেলতে পারে।
টি-২০তে সেঞ্চুরির প্রত্যাশায়...
যেভাবে তামিম-লিটন ব্যাটিং করছে আমার মনে হয় এমন সাবলীল যদি করতে পারে সেঞ্চুরিটা খুব বেশি দিন ডিউ (বাকি) থাকবে না।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সম্পর্কে...
টি-২০ বিশ্বকাপও খুব বেশি দিন দূরে নেই। আমার মনে হয়, এটা একটা সঠিক সময় যাতে করে আমরা দলটা ভালোভাবে করতে পারি। প্রতিটি ম্যাচই যদি আমরা স্টেপ বাই খেলতে পারি ও জিততে পারি তাহলে বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে।
দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়কত্ব...
সত্যি বলতে আমার মনে হয় যে অধিনায়ক হবে তার ওই অথরিটি নেওয়া উচিত ও টিমের প্রতি বিশ্বাসটা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে প্লেয়াররা ফিল করতে পারে অধিনায়কের, কোচের ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাপোর্টটা আছে। আমার মনে হয় এটা প্লেয়ারদের পারফর্ম করতে সাহায্য করে। অনেক সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার সুযোগও কম থাকে। আমি অধিনায়ক হিসেবে এগুলো অ্যাড্রেস করব।
তামিমের ব্যাটিং স্টাইল নিয়ে...
হয়ত ওর স্ট্রাইকরেট নিয়ে কথা বলা হয়ছে। আমার মনে হয় যে ও যদি ওর মতো ব্যাটিং করতে পারে আমার মনে হয় ও এই সিরিজে একটা সেঞ্চুরি করতে পারবে। আমি এই ইস্যু নিয়ে খুব একটা চিন্তিত না। কারণ তামিম খ্বুই ভালো ছন্দে ব্যাটিং করছে। টি-২০ ফর্মেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। আর এরকম পার্টিকুলার কিছু বলাও হয়নি ও কিভাবে ব্যাটিং করবে। পিচ মূল্যায়ন করে ও যেভাবে ব্যাটিং করবে সেটাই যথেষ্ট।
দিবা-রাত্রির ম্যাচে শিশির সমস্যা...
শিশির সব সময় সমস্যা তৈরি করে। এটা নির্ভর করবে শিশির কেমন পড়বে। উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ব্যাটিং রোল সম্পর্কে...
আমি এই জিনিসটা খুব বিশ্বাস করি যে স্পেশালি টি-২০ ক্রিকেটে আপনি আপনার রোল সম্পর্কে যদি অবগত থাকেন তাহলে আপনার কাজ অনেক সহজ হবে। যে পজিশনে যে ব্যাটিং করে পজিশন অনুযায়ী তার মাইন্ডসেট তেমনই হতে হবে।
অধিনায়ক মাশরাফির যে ভূমিকা অনুপ্রাণিত করে...
মাশরাফি ভাইয়ের মধ্যে একটা ছিল ক্যারিশমেটিক পাওয়ার। কারণ যখনই আমরা একটু নার্ভাস থাকতাম তখন উনি আমাদের ঠান্ডাকরে বুঝাতো বা চিন্তা করত যে কিভাবে কি করলে এগোনো যায় বা কোন জিনিসটা করলে পার্টিকুলার কারোর জন্য ভালো হবে!