আনফা জিতে ইতিহাস
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের দেশের মাটিতে শিরোপা জেতার কৃতিত্ব নেই। অথচ বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে বিদেশের মাটিতে ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ১৯৮০ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত আনফা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় আরামবাগ। ফাইনালে তারা নেপালের বাছাইকৃত একাদশকে পরাজিত করে। সেই টুর্নামেন্টে আরামবাগের পক্ষে কোনো তারকা ফুটবলার অংশ নেননি। তবু ইতিহাস গড়ে তারা।
আশিষ জব্বার স্মৃতি
ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান গোল উৎসবে মেতেছিল আশিষ-জব্বার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে। ১৯৮২ সালে ভারতের দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনালে হারায় ভারত বিমান বাহিনীকে। সালাম মুর্শেদী দুটো ডাবল ও তিনটি হ্যাটট্রিকসহ ২৪টি গোল করেন। এ ছাড়া ১৯৮৬ সালে বরদুলাই ও ১৯৯৯ সালে এয়ার ইন্ডিয়া কাপ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় মোহামেডান। প্রাচীনতম আইএফএ শিল্ডে রানার্স আপ হয়।
নাগজি ট্রফি এলো দেশে
ঢাকা মোহামেডান বেশ কবার ভারতের নাগজি ট্রফিতে অংশ নিলেও রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকে। ১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো নাগজিতে খেলেই চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। প্রতিটি ম্যাচে আসলাম, মোনেম মুন্নাদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। ফাইনালেও দাপট ধরে রেখে বিজয়ের উল্লাস করে জনপ্রিয় দলটি। ১৯৯২ সালে ভারতের চামর্স কাপেও চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। ফাইনালে ২-১ গোলে হারায় ঢাকা মোহামেডানকে।
ম্যাকডোনাল্ড গোল্ডকাপের শিরোপা
দুই প্রধান দল আবাহনী-মোহামেডানের দাপট ভেঙে যায় ১৯৯৭ সালে। সেবারই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইমতিয়াজ আহমেদ নকিবের নেতৃত্বে প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। একই মৌসুমে তারা দেশের বাইরেও ট্রফি জিতে। সেবার তারা ভারতে অংশ নেয় ম্যাকডোনাল্ড গোল্ডকাপে। ফাইনালে ভারতের বিখ্যাত ক্লাব মোহনবাগানকে হারায় ২-১ গোলে। নকিবই ছিলেন অধিনায়ক। কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক।
গোপীবাগের আসাম জয়
১৯৭৫ সালে প্রথম বিভাগ লিগে অভিষেক হয় ব্রাদার্স ইউনিয়নের। তবে ২৯ বছর পর শিরোপার মুখ দেখে। ২০০৪ সালেই তারা প্রথম প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। শুধু তাই নয় বিদেশের মাটিতেও বিজয়ের পতাকা উড়ায়। সে বছর আসামের গৌহাট্টিতে অনুষ্ঠিত বরদুলাই গোল্ডকাপে শিরোপা জিতে গোপীবাগের দলটি। ফাইনালে নাগারল্যান্ড এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাদার্স।
পোখড়া গোল্ডকাপ শেখ জামালের
ফুটবলে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করার পর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নজরে আসে সবার। ২০১০ মৌসুমে পেশাদার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। পরের বছরই বিদেশের মাটিতে সাফল্য আসে তাদের। নেপালের পোখড়ায় অনুষ্ঠিত পোখড়া গোল্ডকাপে অংশ নেয় তারা। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে ২-০ গোলে নেপাল আর্মিকে পরাজিত করে। ২০১৪ থিম্পুতে কিংস কাপেও চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। সেমিতে মোহনবাগানকে ৫-২ ও ফাইনালে পুনে এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারায়। একই বছর আইএফএ শিল্ডে রানার্স আপও তারা।