বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সর্বোচ্চ সতর্কে ক্লাবগুলো

ছুটি দিলেও আমরা খেলোয়াড়দের নির্দেশ দিয়েছি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে যেন বের না হয়। প্রতিদিনই ক্লাব তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে ক্লাব সতর্ক। তাছাড়া এ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। প্রয়োজন পড়লে খেলোয়াড়রা এখানে চেকআপ করাতে পারবে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ ক’জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ। এ নিয়ে বাংলাদেশের ক্লাবগুলোও আতঙ্কিত। সতর্কভাবেই তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। পেশাদার ফুটবল লিগ ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। অবস্থার পরিবর্তন না হলে আরও পেছানো হবে লিগ। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগও বন্ধ। পেশাদার ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংস গতকাল থেকে স্থানীয় খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়েছে। ১২ এপ্রিল এএফসি কাপে মালদ্বীপে মার্জিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এ টুর্নামেন্টও স্থগিত করেছে। লম্বা গ্যাপে স্থানীয়রা ছুটি পেলেও কিংসের বিদেশি ফুটবলাররা ঢাকায় থাকছেন।

ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান জানান, ছুটি দিলেও আমরা খেলোয়াড়দের নির্দেশ দিয়েছি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে যেন বের না হন। প্রতিদিনই ক্লাব তাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে ক্লাব সতর্ক। তাছাড়া এ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। প্রয়োজন পড়লে খেলোয়াড়রা এখানে চেকআপ করাতে পারবে। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র অবশ্য ক্যাম্প বন্ধ রাখেনি। গতকালও ফুটবলাররা অনুশীলন করেছেন। ক্লাবের পরিচালক (ক্রীড়া) সালেহ জামান সেলিম জানান, ঝুঁকির কথা ভেবে কাউকে আমরা ছুটি দিইনি। বিশেষ সতর্কতা মেনেই আমরা অনুশীলন চালিয়ে যাব। ক্লাবের চিকিৎসক প্রতিদিনই খেলোয়াড়দের চেকআপ করছেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবও ফুটবলারদের অনুশীলন বন্ধ রাখেনি। দলের ফুটবল কমিটির প্রধান আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু জানান, ছুটি দিলেই ঝুঁকি। তার চেয়ে বরং আমাদের পর্যবেক্ষণে থেকে অনুশীলন করাটাই বেটার মনে করছি। বিদেশি ফুটবলাররা থাকছেন ধানমন্ডির আলাদা অ্যাপার্টমেন্টে। স্থানীয় ও বিদেশি ফুটবলারদের নিয়মিত চেকআপ করা হচ্ছে।

এদিকে দেশের আরেক শীর্ষস্থানীয় ক্লাব ঢাকা আবাহনী লিমিটেড চার দিনের ছুটি দিয়েছে স্থানীয় খেলোয়াড়দের। তবে বিদেশিরা ক্লাবেই থাকবেন। ঢাকা মোহামেডান আজ অনুশীলন শেষ করেই স্থানীয় ফুটবলারদের চার দিনের ছুটি দেবে। তবে বিদেশিরা থাকবেন। ফুটবল দলের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব জানান, করোনাভাইরাসে যা যা করা দরকার ক্লাব তা করছে। ছুটিতে থাকলেও খেলোয়াড়দের প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর