শিরোনাম
শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করলেন টেন্ডুলকার

ক্রীড়া ডেস্ক

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করলেন টেন্ডুলকার

‘টেস্টে দলকে জেতাতে হলে সবাই মিলে পারফর্ম করতে হবে। পার্টনারশিপ কিংবা টিমওয়ার্ক ছাড়া টেস্টে জয় লাভ করা যায় না। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সাফল্য পেতে হলে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।’

ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে তুলনা করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে যেমন ধৈর্য, টিমওয়ার্ক ও সতর্কতা দরকার হয় করোনার জন্যও একই পদ্ধতিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যাটিং জিনিয়াস।

বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো ‘কভিড-১৯’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ফরম্যাটের এই ক্রিকেটের কৌশল অনুসরণ করে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক কলামে এ কথাই লিখেছেন শচীন টেন্ডুলকার।

ব্যাটিং জিনিয়াস বলেন, ‘এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে যেমন অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়, একটু ভুলের কারণে যে কোনো মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে ম্যাচের গতি, করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও তাই। একটুখানি অসতর্ক হলেই সর্বনাশ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘টেস্টে ধৈর্যের পরীক্ষায় আপনি উত্তীর্ণ হলে তার জন্য পুরস্কার পাবেন। কখনো আপনি পিচ কেমন বা বোলার কেমন কিছু জানেন না, এমন সময় রক্ষণাত্মক হওয়াই আমার জন্য সেরা আক্রমণ! যদি আপনি ভালোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে চান তাহলে ধৈর্যের কোনো বিকল্প নেই।’

করোনাভাইরাসে একা লড়াই করে কোনো লাভ নেই। টেস্টের প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, ‘আপনি একা লড়বেন, বড় ইনিংস খেলবেন সেটা দলের জন্য ভালো। কিন্তু দলকে জেতাতে হলে সবাই মিলে পারফর্ম করতে হবে। পার্টনারশিপ কিংবা টিমওয়ার্ক ছাড়া টেস্টে জয় লাভ করা যায় না। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সাফল্য পেতে হলে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।’ যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের উদ্দেশে টেন্ডুলকার বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সব সময় কামব্যাক করা যায়। দুটি ইনিংস থাকে। আপনি প্রথম ইনিংসে ভুল করলেও খেলায় ফেরার জন্য দ্বিতীয় ইনিংস তো থাকছেই। করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে কাজ করছে, তবে সফলতার একমাত্র উপায় সমন্বিতভাবে কাজ করা।’

শচীন বলেন, ‘এ ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য আমাদেরকে টেস্টের মতো ইনিংস বাই ইনিংস লড়াই করতে হবে।’

করোনায় এখন পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু ঘটেছে মাত্র তিনজনের। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৯।

সর্বশেষ খবর