শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

আগে জীবন পরে ফুটবল

তারকাদের সতর্কবার্তা

আগে জীবন পরে ফুটবল

ঘরোয়া ফুটবলে বড় আসর পেশাদার লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। প্রতিটি ক্লাবই তাদের ক্যাম্প বন্ধ রেখেছে। খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়েছে। বিদেশি কোচ ও ফুটবলাররা দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ থাকায় তারা কীভাবে ফিরবেন এ নিয়ে চিন্তার  শেষ নেই। কবে লিগ মাঠে গড়াবে তা নিশ্চিত নয়। তাহলে কি চলতি মৌসুমে লিগ আর হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় চার তারকা ফুটবলার শেখ মো. আসলাম, ছাইদ হাছান কানন, জাহিদ হাসান এমিলি ও মামুনুল ইসলামের সঙ্গে-

 

কী বলব, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না

শেখ  মো. আসলাম

শেখ মো. আসলাম। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। প্রতিদিনই মৃত্যুবরণ করছে মানুষ। কোনো চেষ্টাতেই ভাইরাস ঠেকানো যাচ্ছে না। কার কখন কি হয় বলা যায় না। এমন অবস্থায় খেলাধুলার তো প্রশ্নেই উঠে না। পেশাদার লিগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া উপায়ও ছিল না। মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করে ফুটবলতো আর খেলা যায় না। আসলে এমন বিপর্যয়ে কি যে বলব ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। জীবনটা আগে তারপর ফুটবল। এ সময়ে খেলোয়াড় ভাইদের বলব আপনারা সাবধানে থাকুন। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। করোনাভাইরাস এড়াতে নিয়মকানুন মেনে চলুন।

ভয়কে জয় করা সম্ভব 

মামুনুল ইসলাম

আমি ঢাকা আবাহনীর মতো বড় দলের খেলোয়াড়। অনির্দিষ্টকালের জন্য লিগ বন্ধ হওয়ায় আমি কেন সব খেলোয়াড়দের মন খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেখানে জীবন মরণ সমস্যা খেলাটাতো তুচ্ছ। বেঁচে থাকলে আবার খেলা হবে। মাঠে সবার সঙ্গে দেখা হবে। করোনাভাইরাস বিশ্বে জেঁকে বসেছে। দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। বিশ্ব পরিণত হয়েছে মৃত্যুর মিছিলে। এখন বেঁচে থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জের। গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত। কে যে এর শিকার হন বলা মুশকিল। তবে এই ভয়কে জয় করা সম্ভব। সতর্কতা মেনে চলুন। নিজেকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখুন। খেলোয়াড়রা সারা বছরই ব্যস্ত থাকেন। ছুটি পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। লিগ বন্ধে আমাদের ছুটি মিলেছে। কিন্তু এই ছুটি আবার আতঙ্কের। ঘরে বসেই সময় পার করতে হবে। অযথা বাইরে যাওয়া মানেই নিজের বিপদ ডেকে আনা।

বাফুফে ও ক্লাবগুলোর দায়িত্ব অনেক

ছাইদ হাছান কানন

আমার জীবনে এমন কঠিন সময় আর কখনো দেখিনি। করোনাভাইরাসে বিশ্ব জুড়েই প্রতিদিন মৃত্যুর সংবাদ আসছে। বিশ্বই আতঙ্কিত। কবে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউ বলতে পারেন না। এ অবস্থায় খেলাধুলার প্রশ্নই উঠে না। কারণ জীবনের চেয়ে আর বড় কিছু আছে কি? ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাতেই কি তারা নিরাপদে থাকতে পারবে। সুস্থতার জন্য অবশ্য নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ফুটবল ফেডারেশন ও ক্লাবগুলোর দায়িত্ব আছে। প্রতিনিয়ত খেলোয়াড়দের খোঁজ খবর নিতে হবে। সমস্যায় পড়লে অবশ্যই সমাধানের পথ দেখাতে হবে।

ছুটি মানে ঘুরে বেড়ানো নয়

জাহিদ হাসান এমিলি

পেশাদার লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া উপায়ও ছিল না। করোনভাইরাসে গোটা বিশ্বইতো অচল হয়ে গেছে। বিশ্বের বড় স্টেডিয়ামে তালা ঝুলছে। সেখানে বাংলাদেশে ফুটবল হয় কীভাবে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে ক্লাবগুলো ক্যাম্প বন্ধ দিয়ে খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়েছে। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে এই ছুটি মানে এই নয়, ইচ্ছামতো বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানো। সময়টা বড্ড খারাপ। করোনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। খেলোয়াড় ভাইদের কাছে অনুরোধ রাখব সময়টা ঘরেই কাটান। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বের হবেন না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর