মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

আগে প্রস্তাব পরে সিদ্ধান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগে প্রস্তাব পরে সিদ্ধান্ত

বিশ্ব জুড়ে ক্রীড়াঙ্গন অচল হয়ে পড়েছে। নেই কোনো খেলাধুলা, নেই কোলাহল। চারিদিকে শুধু লকডাউন আর লকডাউন। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশেরও খেলাধুলা নেই। ঘরোয়া ফুটবলে সেরা আসর পেশাদার লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ বন্ধ করে খেলোয়াড়দের ছুটি দেওয়া হয়েছে। বিদেশিরা অবশ্য ফ্লাইট বন্ধের কারণে ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। লিগ কবে হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তাতে চলতি মৌসুমে ফুটবল আর মাঠে গড়াবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যেখানে জীবন-মরণ সমস্যা  সেখানে এখন খেলাধুলা নিয়ে আলোচনা করাটাই বেমানান। তারপরও চিন্তায় আছে ক্লাব ও ফুটবলাররা।

পেশাদার লিগে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চুক্তি করতে হয়। মাসে মাসে বেতন দিতে হয়। খেলা যদি না হয় তাহলে ক্লাবগুলো কতদিন আর বেতন দেবে। ইউরোপিয়ান লিগে ক্লাবগুলো যেমন বেতন কাটবে। তেমনি আবার মানবিক দিকটা চিন্তা করে খেলোয়াড়রা বেতনের মোটা অংশ ছাড় দিচ্ছেন। বাংলাদেশে তা কি সম্ভব? জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য তিন তারকা ফুটবলার আশরাফুল ইসলাম রানা, নাবীব নেওয়াজ জীবন ও ইমন মাহমুদ বাবু এবারের মৌসুমে বড় অংকের পারিশ্রমিকেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল ফুটবলে তো এমন পরিস্থিতি কখনো হয়নি। দীর্ঘ সময়ে লিগ বন্ধ থাকলে তাই তারা বেতন ছাড় দিতে প্রস্তুত কিনা?

শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের অধিনায়ক দেশসেরা গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বললেন, এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়িনি। যে পরিমাণ হোক একটা চুক্তি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই দুর্যোগ কেটে যাবে। তবে লিগ যদি দীর্ঘ সময়ে ঝুলে থাকে অবশ্যই আমাকে ছাড় দিতে হবে। কেননা ক্লাব তো আর বসিয়ে বসিয়ে আমাদের বেতন দিতে পারে না। তবে সে ধরনের সময় এখনো আসেনি। এলে ক্লাব আমাদের প্রস্তাব দিক তারপর বেতন ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেব। মনে রাখতে হবে সবাই বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক পান না। তাদের কথা আমাদের ভাবতে হবে। কিভাবে হবে তা ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন রয়েছে। ইনজুরিতে খেলতে না পারায় ফুটবলারদের বেতন ছাড়ের উদাহরণ রয়েছে। এখনতো মহা দুর্যোগের সময়। অবশ্যই আমরা ক্লাবকে গুরুত্ব দেব। এখনি চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি।

দেশসেরা স্ট্রাইকার ঢাকা আবাহনীর অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন বলেন, আমরাওতো মানুষ। ক্লাবগুলোতো আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। কোনো অবস্থায় চাইব না বিপদে ফেলতে। তবে আমাদের দিকটাও দেখতে হবে। হুট করে এখনি কিছু বলা সম্ভব নয়।

দুই মৌসুম ধরে বসুন্ধরা কিংসে খেলছেন ইমন মাহমুদ বাবু। গতবার অভিষেক আসরে লিগ জয়ের পেছনে তার অবদান কম নয়। কাল সোজা সাপটা বলেই ফেললেন, ক্লাব বাঁচলে দেশের ফুটবল বাঁচবে।

সর্বশেষ খবর