বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
ঘরোয়া ফুটবল

এক ম্যাচ খেলেই নায়ক

সত্তর থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত এ খেলার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। কত তারকা ফুটবলার যে বের হয়েছেন তার হিসাব মেলানো মুশকিল। অনেকে আবার এক ম্যাচ খেলেই অলোচনায় এসেছেন। দর্শকদের হৃদয় জয় করে হিরো বনে গেছেন। এমন বেশ কজন ফুটবলার আছেন যাদের নৈপুণ্য কখনো ভুলবার নয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এক ম্যাচ খেলেই নায়ক

এখন না হয় বাংলাদেশের ফুটবলে রুগ্ন দশা। সত্তর থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত এ খেলার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। কত তারকা ফুটবলার যে বের হয়েছেন তা হিসাব মেলানো মুশকিল। অনেকে আবার এক ম্যাচ খেলেই অলোচনায় এসেছেন। দর্শকদের হৃদয় জয় করে হিরো বনে গেছেন। এমন বেশ কজন ফুটবলার আছেন যাদের নৈপুণ্য কখনো ভুলবার নয়। দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাকে ক্রিকেটের লোক বলে চেনে ও জানেন। বাস্তবে টুটুল ছিলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার। আবাহনীতে শুরু থেকে খেলেই সবার মন জয় করেন। একবার নয়, দুবার আবাহনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাঠ কাঁপানো এ ফুটবলার। আবাহনীর সাফল্যের পেছনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে।

১৯৭৫ সালে প্রথম বিভাগ লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নে তার অভিষেক। আগের বছরে চ্যাম্পিয়ন তারকাভরা আবাহনীকে হারিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে সাড়া ফেলে দেয় গোপীবাগের দলটি। যদিও গোলটি করেন টুটু। কিন্তু ওই ম্যাচে হাসানুজ্জামান খান বাবলুর পারফরম্যান্স দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে যান। একাই আবাহনীকে নাচিয়ে ছাড়েন তিনি। পরবর্তীতে বাবলুকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। আবাহনী ও মোহামেডানের মতো বড় দলে সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় যুব এশিয়া কাপে তার নৈপুণ্য ছিল অসাধারণ। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে সুনামের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। বেশিদিন খেলতে পারেননি তোতা। ১৯৭৫ সালে মোহামেডানে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক তার। সেই ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে শেষ বাঁশি বাজার ১৩ সেকেন্ড আগে গোল করে হিরো বনে যান। এরপর থেকেই মোহামেডানের নিয়মিত একাদশে তার জায়গা হয়ে যায়।

১৯৭৭ সালে লিগে ছিলেন না মোসাব্বের। আগা খান গোল্ডকাপে মোহামেডান দলে নেয় রংপুরের ছেলে মোসাব্বেরকে। প্রথম ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালোর জার্সি পরে মাঠে নামেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল দলের বিপক্ষে। যেখানে ৯ জন ভারতীয় জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। অথচ ওই ম্যাচে মোহামেডান ২-১ গোলে জিতে আলোড়ন তোলে। প্রথম গোলটি আসে মোসাব্বেরের পা থেকে।

অল ইন্ডিয়ার সাড়া জাগানো ডিফেন্ডার গুরুদেব সিংকে কাটিয়ে ৩২ গজ দূর থেকে বুলেট শটে পরাস্ত করেন ভাস্কর গাঙ্গুলিকে। সেই থেকে নাম ছড়িয়ে পড়ে মোসাব্বেরের।

১৯৮২ সালে মোহামেডানে প্রথম ম্যাচ খেলেই দৃষ্টি কাড়েন গোলরক্ষক মহসীন। সেবার তিনি আবাহনী থেকে মোহামেডানে যোগ দেন। শুরুতে সাইড বেঞ্চে বসে থাকলেও নিয়মিত গোলরক্ষক লাল মোহাম্মদকে বসিয়ে প্রথম পর্বে মাঠে নামানো হয় আবাহনীর বিপক্ষে। ম্যাচে তখন বাদল রায়ের গোলে মোহামেডান এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি পায় আবাহনী। সালাউদ্দিনের শট দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দিয়ে মহসীন হিরো বনে যান। পরবর্তীতে মহসীন হয়ে যান দেশের সেরা গোলরক্ষক।

১৯৮৯ সালে ফেডারেশন কাপে আবাহনীর বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে মোহামেডান জিতে যায় মোস্তাকিমের জোড়া গোলে। দুই গোল দিয়ে হিরো বনে গেলেও পরবর্তীতে মোস্তাকিম পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর