রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সাকিব ফিরবেন বলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিতে হতাশ হননি মুমিনুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব ফিরবেন বলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিতে হতাশ হননি মুমিনুল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সারা বিশ্বে এখন মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়েছে, কভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ কবে থামবে, ধারণা করতে পারছেন না কেউ। মরণঘাতী এই ভাইরাসে জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। থমকে গেছে খেলাধুলা। পিছিয়ে গেছে অলিম্পিক, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং কোপা আমেরিকার মতো গ্র্যান্ড সব আসরগুলো। স্থগিতের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। জুনে দুই টেস্ট সিরিজ খেলতে আসার কথা ছিল টিম পেইনের অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড পারস্পরিক আলোচনা সাপেক্ষে স্থগিত করেছে সিরিজটি। টেস্ট দুটি স্থগিত হলেও বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ হতাশ নন। টাইগার টেস্ট অধিনায়ক সিরিজ স্থগিতাদেশকে শাপেবর হিসেবে দেখছেন। কারণ অক্টোবরেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। সাকিব ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই খেলতে পারবেন টেস্ট অধিনায়ক।

করোনাভাইরাসের শুধু অস্ট্রেলিয়া সিরিজই স্থগিত হয়নি। এপ্রিলের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে করাচিতে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলার কথা ছিল টাইগারদের। সেটা স্থগিত হয়েছে। মে মাসে তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-২০ খেলার কথা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির জন্য সেটাও বন্ধ হয়েছে। এবার ৮-১২ জুন চট্টগ্রাম এবং ১৮-২২ জুন ঢাকায় দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু কভিড-১৯ ভাইরাসের সারা পৃথিবীর পরিবেশ ও পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক যে, গোটা বিশ্বের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে পড়েছে।

বন্ধ হয়ে পড়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটও। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত হলেও একেবারে বাতিল হয়ে যায়নি।

২০২১ সালের মার্চ কিংবা এপ্রিলের কোনো এক সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে সিরিজটি। এমনটাই আশা বিসিবির। সিরিজ স্থগিত হওয়ায় ক্রিকেট থমকে গেছে। তবে হতাশ হননি টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল, ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ স্থগিত হলেও আমি হতাশ নই। কারণ, এতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠের নামার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে মনে করি। কারণ, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তখন স্কোয়াডে ফিরবেন সাকিব ভাই।’

টাইগার টেস্ট অধিনায়ক সিরিজ স্থগিতাদেশকে শাপেবর হিসেবে দেখছেন। কারণ অক্টোবরেই সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।

বাজিকরদের সঙ্গে আলোচনা লুকানোর অপরাধে সাকিব গত অক্টোবরে সবধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ হন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়াই বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট, টি-২০ সিরিজ খেলেছে। তার অভাব প্রতিটি সিরিজেই অনুভূত হয়েছে। তাকে ছাড়াই খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের অবশিষ্ট ম্যাচ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। করোনাভাইরাসে এসব সিরিজ স্থগিত হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। এরপর থেকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সার্ভিস পাবে টাইগাররা। এই স্থগিতাদেশকে ভালোভাবেই নিয়েছেন মুমিনুল, ‘সাকিব ভাইয়ের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আমাদের সাহস বাড়াবে। তাকে ছাড়া আমাদের একজন বাড়তি বাঁ হাতি স্পিনার খুঁজে বেড়াতে হয়। যদি সিরিজটি এপ্রিলে চলে যায়, তাহলে সাকিব ভাই নিজেকে অনেক বেশি প্রস্তুত করে নিতে পারবেন। অধিনায়ক হিসেবে আমি অবশ্যই দলে সেরা ক্রিকেটারকে চাইব।’

করোনাভাইরাসে খেলাধুুলা বন্ধ। হোম কোয়ারেন্টাইনে টাইগার টেষ্ট অধিনায়ক মুমিনুল। ঘরে বসে তিনি সময় পার করছেন ভারতীয় ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলবারের খেলা দেখে। অবশ্য নিজের খেলাগুলো দেখে ভুলত্রæটিগুলো শুধরে নিচ্ছেন মুমিনুল।   

সর্বশেষ খবর