বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় বিসিবি

করোনাভাইরাসে ঘরবন্দী বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি লোক। ঘরে থাকতে থাকতে হাপিয়ে উঠেছেন দেশ-বিদেশের ক্রীড়াবিদরা। পরিবার পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু মন পড়ে আছে মাঠে। খেলায় ফিরতে মড়িয়া সবাই। করোনাভাইরাসের ভীতিকে সঙ্গী করেই জার্মান ফুটবল ফেডারেশন বুন্ডেস লিগা চালুর একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষনা করেছে। তবে দেশটির তিনজন ফুটবলার নতুন করে কভিড-১৯ ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় সংশয়ে পড়ে গেছে দেশটির লিগের ভবিষ্যত। জার্মানির মতো মাঠে ফেরার অপেক্ষায় ইতালির সিরি-এ, স্পেনের লা লিগা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনই মাঠে ফেরার কোনো তারিখ নির্ধারন করেনি। তবে একটি তারিখ নির্দিষ্ট করে মাঠে ফিরতে কাজ করে যাচ্ছে। ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

ফ্রেঞ্চ ফুটবল এসোসিয়েশন লিগ শুরু করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশটির সরকার বাতিল করে দেয় লিগ। এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়নি বাংলাদেশে। প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেছে বিসিবি। ১২ দলের লিগ কবে মাঠে ফিরবে, নিশ্চিত করে বলতে পারছেননা কেউ। জাতীয় দল ও অপরাপর ক্রিকেটাররা তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় আছে লিগ শুরুর। বিসিবিও চাইছে প্রিমিয়ার ক্রিকেট শুরু করতে। সবার আগে প্রিমিয়ার ক্রিকেট শুরুর কথাই বলেছেন বিসিবি সিইও, ‘আমরা চাইছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রিকেট মাঠে ফিরে আসুক। সবার আগে আমরা চাইবো ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হওক। ঘরোয়া ক্রিকেটের মুল আকর্ষণ প্রিমিয়ার ক্রিকেট আমরা শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছি।’

বিসিবি চাইছে যে কোনো উপায়ে ক্রিকেট মাঠে ফিরুক। কিন্তু চাইলেইতো সম্ভব হচ্ছেনা। দেশে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। গতকাল আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৯০। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৭১৯ এবং মৃতের সংখ্যা ১৮৬। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, স্পষ্ট নয়। তাই বিসিবি সিইও পরিস্কার করে বলতে পারেননি কবে মাঠে খেলা গড়াবে। নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্œ নজর রাখছে। বিসিবি সিইও জানিয়েছেন সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন, ‘আমরা চাইছি খেলা মাঠে ফিরুক। কিন্তু চাইলেতোই মাঠে ফেরাতে পারবো না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হবে। আমরা অপেক্ষায় আছি সরকারের সবুজ সংকেতের।’

আমরা চাইছি খেলা মাঠে ফিরুক। কিন্তু চাইলেই তো মাঠে ফেরাতে পারব না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হবে। আমরা অপেক্ষায় আছি সরকারের সবুজ সংকেতের।

১৮ মার্চ থেকে সবধরনের ক্রিকেট বন্ধ। করোনার জন্য স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের শেষ ভাগ। স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ। স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। শঙ্কায় রয়েছে টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সফরও। অবশ্য বিসিবি সিইও দ্বীপরাস্ট্র সফর বাতিলের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে রাজী হননি, ‘দেখুন শ্রীলঙ্কার অবস্থাও খুব ভালো নয়। আমরা নজর রাখছি দেশটির উপর। ওই দেশের বোর্ডের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এখনই সিরিজের ভবিষ্যত নিয়ে বলতে চাইছি না। যে সকল সিরিজ স্থগিত হয়েছে, সেসব নিয়ে আমরা ভাবছি। আমরা সময় বের করে সেসব সিরিজ পুনরায় আয়োজন করার চিন্তা ভাবনা করছি’।

করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিসিবি লকডাউন করা হয় ২৬ মার্চ থেকে। বন্ধ হয়ে যায় দৃশ্যমান সব ধরনের কার্যক্রম। বিসিবি পরিচালক কিংবা অপরাপর কর্মকর্তারা অফিসে না আসলেও টেলিকনফারেন্সে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। লকডাউনের সময় ক্রিকেট বোর্ড পাশে দাড়িয়েছে ক্রিকেটার, ক্লাবগুলোর পাশে। বিসিবি এসময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাইরে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের ৯১ জন ক্রিকেটারকে এককালীণ ৩০ হাজার টাকা করে দিয়েছে। জাতীয দলের মহিলা ক্রিকেটারদের ২০ হাজার টাকা করেও দিয়েছে। প্রিমিযার ক্রিকেটের ক্লাবগুলোর গরীর দুঃস। তাদের পাশেও দাড়িয়েছে বিসিবি।   

সর্বশেষ খবর