শনিবার, ১৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ছোট খেলায় বড় ক্ষতি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছোট খেলায় বড় ক্ষতি

করোনাভাইরাসে পুরো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে স্থবিরতা নেমে  এসেছে। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তবে আলোচনা হচ্ছে শুধু ক্রিকেট ও ফুটবল নিয়ে। এই দুই লিগ পুনরায় মাঠে গড়াবে না বাতিল হবে এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাসে আরও খেলা যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ খবর রাখে কে? অথচ ছোট খেলাতেই বড় ক্ষতি হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। হকিতে তো দুই বছর ধরে লিগের দেখা মিলছে না। করোনায় তা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, করোনা আতঙ্ক দূর হলেই আমাদের প্রথম এজেন্ডা থাকবে প্রিমিয়ার লিগ। আশা করি চলতি বছরেই তা নামানো যাবে।

সেদিনও যে খেলা ক্রীড়াঙ্গনে অচেনা ছিল। সেই তীর ধনুকের আর্চারিও এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। একের পর এক সাফল্য এনে আর্চাররা এ খেলাকে বসিয়েছে সম্মানজনক স্থানে। অবশ্য সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল এর মূল কারিগর। তারই হাত ধরে বাংলাদেশে আর্চারির আগমন। গেল এস,এ গেমসে নেপালে বাংলাদেশ ১৯টি সোনা জিতে রেকর্ড গড়ে। এর মধ্যে আর্চারি থেকেই এসেছিল ১০ সোনা। এবার অলিম্পিকে রোমান সানার তীর ছুড়ার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হচ্ছে না গেমস বাতিল হওয়ায়। ঢাকায় ইসলামিক সলিডারিটি ও দেশের বাইরে দুটি এশিয়া কাপ খেলার কথা থাকলেও তাও বাতিল হয়ে যায়। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সব শিডিউল বাতিল হয়েছে।

চপল বলেন স্বল্প সময়ে আর্চারি জনপ্রিয় খেলায় রূপ নিয়েছে। আশা করি সামনে আরও বড় সাফল্য বয়ে আনবে আর্চাররা।

নেপাল এসএ গেমসে কারাতেও বাংলাদেশ চমক দেখায়। কারাতেকাররা ৩টি সোনা জেতেন। ভারোত্তোলনে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত সোনা ধরে রাখার পাশাপাশি আরেকটি সোনা আসে। ক্রিকেটে পুরুষ ও মহিলারা দলীয়ভাবে সোনা জেতেন। তাইকোয়ান্দো ও ফেন্সিংয়ে একটি করে সোনা জেতে। অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, কাবাডি ও শুটিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ডিসিপ্লিনে সোনা না এলেও নেপাল এসএ গেমসে সাফল্য দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সামনে আরও বড় পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ধারাবাহিক অনুশীলন। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিলে ক্রীড়াবিদদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ত। কিন্তু করোনাভাইরাস সব এলোমেলো করে দিয়েছে।

করোনাভাইরাসে যেখানে জীবন মরণ সমস্যা, সেখানে খেলা বা অনুশীলনের তো প্রশ্নই ওঠে না। ঘরে বসেই অলস সময় কাটাচ্ছেন ক্রীড়াবিদরা। এ ছাড়া উপায়ও নেই, কবে করোনা দূর হবে তার কোনো নিশ্চয়তাও নেই। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছাড়াও ছোট খেলার ঘরোয়া আসরগুলোও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। পারফরম্যান্স তো বটেই আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খেলোয়াড়রা। ক্রীড়াঙ্গনে বড় আয় তো ক্রিকেট বা ফুটবল থেকেই। ছোট খেলায় খেলোয়াড়রা যে পারিশ্রমিক পান তা নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো। করোনাভাইরাসে ছোট খেলাতেই বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কি অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন দাঁড়াতে পারে না? এ ব্যাপারে সংস্থার উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বাজেট ঘোষণা করেছে ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সহায়তায়। এখানে অলিম্পিকের তো নিজস্ব ফান্ড নেই। তাই সহযোগিতার অর্থ পাব কোথায়?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর