বুধবার, ২০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

তামিম-কোহলির ফেসবুক আড্ডা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তামিম-কোহলির ফেসবুক আড্ডা

খেলা নেই। দর্শকদের মন খারাপ। তাই তারকা ক্রিকেটাদের সঙ্গে ফেসবুকে ও ইস্টাগ্রামে লাইভ আড্ডা দেন তামিম ইকবাল। গত সোমবার রাতে তিনি আড্ডা দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে। দুই অধিনায়কের আড্ডাটা সরাসরি উপভোগ করেছেন ১ লাখের উপরে ভক্ত। তামিম ও কোহলির কথোপকথনের বিশেষ বিশেষ অংশ তুলে ধরা হলো-

তামিম : আপনাকে প্রথম দেখেছি ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায়। তারপর ২-৩ বছরের মধ্যে কি এমন ঘটে গেল যে আপনি সম্পূর্ণ বদলে গেলেন?

কোহলি : শ্রীলঙ্কায় আমি একটা সেঞ্চুরি করি। তখন আমার বিশ্বাস হতে থাকে, আমি লম্বা সময় ক্রিকেটে থাকতে পারব। চাপের ম্যাচে আমাকে ভালো করতে হবে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারলে এমনিই মাইন্ডসেট বদলে যায়।

আমার দলে যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে তাদের উদ্দেশেও আমি একই কথা বলি, এটা ভাবার দরকার নেই  যে দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা আউট হয়েছে, এখন আমার কি হবে? দেখতে হবে তোমার সামনে কি সুযোগ আছে! সে পারেনি তো কি হয়েছে, আমার আত্মবিশ্বাস আছে আমি পারব! সব সময় নিজের সামর্থ্যরে ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। প্রত্যেকটি পরিস্থিতিকে আলাদাভাবে দেখতে হবে। অন্যে নেগেটিভভাবে দেখে  দেখুক, আপনাকে পজেটিভভাবেই দেখতে হবে। দেখবে পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে গেছে। তুমি ম্যাচ জিতিয়েছ।

তামিম : আপনি যখন রান তাড়া করতে যান তখন আপনার মানসিক অবস্থা কেমন থাকে? তখন আপনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন? তখন কি ভাবেন?

কোহলি : প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ। মাঝে মধ্যে মুশফিকই  তো হেল্প করে। এমন কিছু বলে ফেলে তাতে আমি অনুপ্রাণিত হই।

আমি তরুণ ক্রিকেটারদের বলি, তোমার আত্মবিশ্বাসটাই আসল। ছোটবেলায় যখন টিভিতে ম্যাচ দেখতাম, তখন ভারত যদি রান তাড়া করতে গিয়ে কোনো ম্যাচ হারত আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম যে আমি থাকলে ঠিকই জিতে ফিরতাম। রাতে

এই বিশ্বাস নিয়েই ঘুমাতে যেতাম। সত্যি বলছি, একদম ছোটবেলা থেকেই এ স্বপ্ন দেখতাম।

যখনই এ ধরনের কোনো পরিস্থিতিতে পড়ি, ওই আনন্দটা  বেড়িয়ে আসে আমার মাঝে। ওই যে বিশ্বাস যে ইচ্ছা, আমি পারব সেই অনুভূতিটা আবারও ফিরে আসে। আমার মনে হয়, রান তাড়া করা এমন একটা পরিস্থিতি যখন আপনি জানেন ঠিক কত রান করতে হবে এবং এ জন্য আপনাকে কী কী করতে হবে। আমার মতে এর চেয়ে পরিষ্কার সমীকরণ আর হতে পারে না।

সর্বশেষ খবর