শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

লড়তে প্রস্তুত টাইসন

ক্রীড়া ডেস্ক

লড়তে প্রস্তুত টাইসন

সর্বশেষ লড়াই করেছিলেন ২০০৫ সালে। হেরেছিলেন ১৫ বছর আগের সেই লড়াইয়ে। এরপর বক্সিং গ্লাভস তুলে রাখেন শোকেসে। যদিও মাঝেমধ্যে প্রীতি বাউটে লড়েছেন। কিন্তু পেশাদার বক্সিং জগতে ফেরার কোনো আভাসই দেননি। মাইক টাইসন- সর্বকালের সেরা বক্সারের একজন। বয়স এখন ৫৩। এই বয়সে সবার যখন পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, তখন ‘আয়রন মাইক’ জানিয়েছেন তিনি লড়াই করতে প্রস্তুত। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যে কারোর বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত। লড়াইয়ের জন্য তিনি মনে করেন শারীরিকভাবে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

বর্ণময় চরিত্রের অধিকারী টাইসন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৬ সালে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির গাট্টাগোট্টা টাইসন প্রথম বিশ্বকাপ খেতাব জেতেন ১৯৮৬ সালে। মাত্র ২০ বছর বয়সে ট্রেভর বারবিককে হারিয়ে তিনি জেতেন সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ব হেভিওয়েট বক্সিং খেতাব। ক্যারিয়ারে তিনি জিতেছেন ডব্লিউবিসি, ডব্লিউবিএ ও আইবিএ খেতাব। ২০০৫ সালে অবসরের ঘোষণা দেন ড্যানি উইলিয়ামস ও কেভিন ম্যাকব্রাইডের কাছে হেরে। টাইসনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই ছিল ইভান্ডার হলিফিল্ডের বিপক্ষে। ১৯৯৭ সালের লড়াইয়ে তিনি কোণঠাসা হয়ে কামড় দিয়ে হলিফিল্ডের কান ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। ফলে নিষিদ্ধ থাকেন তিন বছর। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও পুরনো দাপট আর ফিরে পাননি। ২০০০ সালে তিনি বক্সিং জগতে ফিরে শিরোপা পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করেন লেনক্স লুইসের বিপক্ষে। কিন্তু হেরে যান। বক্সিংকে বিদায় জানানোর পর চেষ্টা করেন হলিউডে অভিনয়ের। ‘আইপি ম্যান’ মুভিতে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু স্থায়ী হতে পারেননি। টাইসন যখন ফর্মের শীর্ষে, তখন তিন বছর জেল খাটেন ধর্ষণের অভিযোগে। ১৯৯২ সালে সুন্দরী ডেজাইরি ওয়াশিংটন অভিযোগ করেন ধর্ষণের। তাতে জেল খাটেন।

জিমন্যাসিয়ামে সময় বের করে টাইসন নিজেকে প্রস্তুত করেছেন লড়াইয়ের জন্য। ৫৩ বছর বয়সী টাইসনের বিপক্ষে লড়াই করবেন তার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট শ্যানন ব্রিগসের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষ যিনিই হোন, নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত বলেন মাইক টাইসন, ‘আমি শারীরিক ফিটনেস নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট। প্রস্তুত যে কারও বিরুদ্ধে লড়াই করতে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর