বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারদের ছোট তালিকা যদি করা হয়, সেখানে চোখ বন্ধ করে থাকবেন ইয়ান বোথাম। সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার শুধু ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার হিসেবে সহজেই খেলতে পারতেন ইংল্যান্ড দলে। একজন ভালো বোলার ও ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি অসাধারণ একজন স্লিপ ফিল্ডার ছিলেন। ক্যারিয়ার শেষে বোথাম এখন ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। তাই খুব কাছ থেকে ক্রিকেটারদের দেখছেন। তার ক্যারিয়ার শেষে বহু অলরাউন্ডার খেলেছেন। অনেককেই ‘নতুন বোথাম’ তকমা দেওয়া হয়েছে। সেসব ক্রিকেটার আলো জ্বালালেও বোথামের ধারেকাছে ভিড়তে পারেননি। তার উচ্চতায় আসতে না পারলেও অনেককেই নিয়ে অনেকে স্বপ্ন দেখেছেন। কিংবদন্তির ইংলিশ অলরাউন্ডার বোথাম অলরাউন্ডারদের মাঝে থেকে এবার নিজের কাছাকাছি একজনকে বেছে নিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন তারই স্বদেশি বেন স্টোকস। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালের ইনিংসটিই অমরত্ব দিয়েছে স্টোকসকে। শুধু তাই নয়, অ্যাশেজেও যে ইনিংসটি খেলেছেন, ওই এক ইনিংসই তাকে বোথামের কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে।
আশির দশকে মাঠ মাতিয়েছেন চার অলরাউন্ডার বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেব ও রিচার্ড হ্যাডলি। তবে পারফরম্যান্সের বিচারে অন্য সবার চেয়ে একটু এগিয়েছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। তাদের পরে মাঠ মাতিয়েছেন জ্যাক ক্যালিস, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। এরপর সাকিব আল হাসান, বেন স্টোকসরা। এদের মধ্যে সবাই
লড়াইয়ে রাখেন ফ্লিনটফ ও স্টোকসকে। দুই ইংলিশের মধ্যে বোথাম বেঁচে নেন স্টোকসকে। পেন্টরাইট ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনায় তিনি স্টোকসকে এগিয়ে রাখার ব্যাখ্যায় বলেন, ‘ফ্রেডির (ফ্লিনটফ) চেয়ে বেন স্টোকস অনেক এগিয়ে। আমি মনে করি, স্টোকস আমার কাছাকাছি। সে আমার মতো হৃদয় উজাড় করে খেলে। তার মানে ফ্লিনটফ ভালো নন, সেটা নয়। কিন্তু স্টোকস অসাধারণ। আমার মতে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।’নিজের ক্যারিয়ারে সব সময় লড়াই করেছেন ইমরান, কপিল ও হ্যাডলির সঙ্গে। চার অলরাউন্ডারের তুলনায় বোথাম কাউকে এগিয়ে রাখেননি। বরং নিজেদের মধ্যে অলিখিত লড়াই উপভোগ করেছেন বলেন, ‘ওই সময়ে খেলতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার। ১০-১৫ বছর আমরা ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করে রেখেছিলাম।