বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজের সূচি চূড়ান্ত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। অনুশীলন করছেন শ্রীলঙ্কান ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। ৬ জুন থেকে কাবুলে অনুশীলনে নামবেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। মরণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়কে পাশ কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। পূর্ণ নিরাপত্তায় অনুশীলন করছেন বেন স্টোকস, স্টিভ স্মিথ, দিমুথ করুণারতেœরা। ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য জুলাইয়ে আতিথেয়তা দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের চিত্র এখন এমনই। চিত্র যখন এমন, তখন প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কবে থেকে অনুশীলনে নামছেন? পরিষ্কার উত্তর নেই। শোনা গিয়েছিল জুলাইয়ে ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে চাইছে বিসিবি। সত্যিই কি ক্রিকেট জুলাইয়ে মাঠে ফিরবে? বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেটকে এখনই মাঠে ফেরানো জরুরি নয়। তবে ক্রিকেট যাতে মাঠে ফিরে, সেজন্য সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ মসৃণ করতে বিসিবি একটি গাইড লাইনও তৈরি করছে। গাইড লাইন দিয়েছে ক্রিকেটের শাসক সংস্থা আইসিসিও। তাদের গাইড লাইনের শুরুতেই স্পষ্ট করে লেখা, সরকারের সবুজ সংকেত মিললেই শুধু মাঠে ফিরতে পারবে ক্রিকেট।

বিসিবি কিন্তু বসে নেই। ভার্চুয়ালি সবাই কাজ করছেন। যার প্রয়োজন হচ্ছে, সে বিসিবিতে এসে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা কাজ করছি। বলাই আছে, স্টেশন লিভ করা যাবে না। সুতরাং আমরা প্রস্তুত। কিন্তু বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতির বিবেচনায় আমরা কোনো ধরনের রিস্ক নিতে রাজি নই।

ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব কয়েকদিন আগে বিসিবিকে অনুরোধ করেছিল ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে। জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটারও চেয়েছিলেন খেলতে। কিন্তু বিসিবি রাজি হয়নি। শোনা যায়, ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলনের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সম্মত হয়নি বিসিবি। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশে আক্রান্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্ত রোগী ৫৫ হাজার ১৪০ জন। মৃতের সংখ্যা ৭৪৬। পরিস্থিতি জটিল হলেও জীবনযাত্রা চলমান রাখতে সরকার অফিস-আদালত খুলে দিয়েছে। এতে করে ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশ্বাস খুব সহসাই অনুশীলনে নামবেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু বিসিবি সিইও স্পষ্টই জানিয়েছেন এখন ক্রিকেট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, ‘দেশের পরিস্থিতি সবাই দেখছেন। মনে রাখতে হবে, ক্রিকেট শুধুমাত্র একটি খেলা। শতাংশের পরিমাণে ক্রিকেটের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবার আগে জীবন। বেঁচে না থাকলে খেলা দিয়ে কি হবে?  যদি মাঠে ক্রিকেট ফেরানো হয় এবং কোনো ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত কিংবা আরও বাজে কিছু হয়ে যায়, তখন সব দায়ভার কিন্তু বিসিবির উপর বর্তাবে। তাই আমি মনে করি. পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এই মুহ‚র্তে খেলাধুলা সম্ভব নয়।’

মার্চ মাস থেকে খেলাধুলা পুরোপুরি বন্ধ। ঘরবন্দী ক্রিকেটাররা। ঘরেই ফিজিওর নির্দেশনা মেনে অনুশীলন করছেন মুশফিক, তামিম, মাহমুদুল্লাহরা। তারাও চাইছেন মাঠে ফিরতে। অথচ সরকারের নির্দেশনা নেই। তাই বিসিবিও পারছেন না সিদ্ধান্ত নিতে। গাইড লাইন ঠিক করলেও বিসিবি পুরোপুরি অপেক্ষা করছে সরকারের সবুজ সংকেতের। বিসিবি সিইও বলেছেন, ‘বিসিবি কিন্তু বসে নেই। ভার্চুয়ালি সবাই কাজ করছেন। যার প্রয়োজন হচ্ছে, সে বিসিবিতে এসে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা কাজ করছি। বলাই আছে, স্টেশন লিভ করা যাবে না। সুতরাং আমরা প্রস্তুত। কিন্তু বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতির বিবেচনায় আমরা কোনো ধরনের রিস্ক নিতে রাজি নই।’

সর্বশেষ খবর