ময়মনসিংহের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নাম সার্কিট হাউসের বিশাল ময়দান। রাজনীতির ইতিহাসের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও এই মাঠের অবদান অসামান্য। সম্প্রতি ১৬ একরের বিশালাকৃতির এ মাঠটির একপাশে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের ম্যুরাল, গ্লোব লাইটের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, ভ্রমণ পিপাসু, দর্শনার্থী ও খেলোয়াড়দের জন্য দুটি ওয়াসব্লক নির্মাণ, চারদিকে তিনফুট দেয়াল এবং এর ওপর আড়াই ফুট উচ্চতার এসএস পাইপ এবং তিনটি বা আরও অধিক গেট নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেয় বিভাগীয় প্রশাসন। সৌন্দর্য বর্ধন নিয়ে সাধারণ মানুষ ও ক্রীড়ামোদিদের আপত্তি নেই। শুধু আপত্তি মাঠের সীমানা প্রাচীর নিয়ে। এর ফলে ক্রীড়াঙ্গন জৌলুস হারাবে মনে করছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। সীমানা প্রাচীরের প্রতিবাদে বুধবার মানববন্ধন করেন ‘বিক্ষুব্ধ ময়মনসিংহবাসী’-এর ব্যানারে খেলোয়াড় ও স্থানীয়রা। অভিযোগ রয়েছে ময়মনসিংহের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়াঙ্গনের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ না করেই বিভাগীয় প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘জেলার এমপি, সিটি মেয়র এবং দুজন প্রতিমন্ত্রীও এ বিষয়ে অবগত নন। প্রশাসনের উচিত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা।’ এ প্রসঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘মাঠ মাঠের জায়গাতেই থাকবে।’ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণের আগে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, পরিবেশবিদ, নাগরিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠন বা ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রশ্নবিদ্ধ হতো না।’