শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কোটা কমছে বিদেশি ফুটবলারের

‘আমি নিজেও ফুটবলার ছিলাম। তাই ফুটবলারের কষ্টটা বুঝি। নিরূপায় হয়ে লিগ বাতিল করা হয়েছে। এখন ফুটবলের নতুন মৌসুম নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছি। কেননা করোনাভাইরাসের দাপট তো বেড়েই চলেছে।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোটা কমছে বিদেশি ফুটবলারের

মাঠে গড়িয়েও এবার পেশাদার লিগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় ফুটবলারদের হতাশার শেষ নেই। কেননা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি লিগ মিস করল তারা। নিজেদের ফিটনেস ঠিক রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করলেও দীর্ঘদিন ধরে ফুটবলাররা মাঠের বাইরে। আসলে লিগ বাতিল ছাড়া বাফুফের কোনো পথও ছিল না। করোনাভাইরাসে কবে লিগ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। অযথা অর্থ

ব্যয় হচ্ছে বলে ক্লাবগুলো জানিয়ে দিয়েছিল তাদের পক্ষে এবার লিগ খেলা সম্ভব নয়। বাফুফেও এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিতে চায়নি। তাই নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডেকে পেশাদার লিগ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

যদি শিডিউল পরিবর্তন না হয় তাহলে ফুটবলাররা অক্টোবর থেকেই মাঠে নামতে পারবে। এ সময় বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ফিফা পরবর্তী ম্যাচগুলোর সূচি ঘোষণা করেছে। তা ছাড়া এএফসি ক্লাব কাপের গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলোও হবে। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে বসুন্ধরা কিংস টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী ম্যাচেই তারা মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে ৫-১ গোলে হারিয়ে সবার নজর কেড়েছে।

এতো গেল আন্তর্জাতিক আসরের কথা। ফুটবলাররা চেয়ে আছেন নতুন মৌসুমের দিকে। কেননা এটাই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। তা ছাড়া এবার লিগ না হওয়ায় এক দলবদলেই তাদের খেলতে হবে কি না এ নিয়েও ফুটবলাররা চিন্তায় আছেন। ফুটবলের নতুন মৌসুম নিয়ে বাফুফে কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না এ নিয়ে কথা হয় ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারমান সালাম মুর্শেদী এমপির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও ফুটবলার ছিলাম। তাই ফুটবলারদের কষ্টটা বুঝি। নিরূপায় হয়ে লিগ বাতিল করা হয়েছে। এখন ফুটবলের নতুন মৌসুম নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছি। কেননা করোনাভাইরাসের দাপটতো বেড়েই চলেছে। তবে আমি বসে নেই, এ নিয়ে কাজ করছি। কী করা যায় এ নিয়ে ফুটবল এক্সপার্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

সালাম জানান, ‘ভিডিও কনফারেন্স করে লাভ নেই। যান্ত্রিক জটিলতায় অনেকের কথা বুঝাও যায় না। তাই বাফুফে চিন্তা ভাবনা করছে ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে চলতি মাসেই নির্বাহী কমিটির সভা ডাকা। তা না হলে আগামী মাসেই হবে।’ সালামের কাছে প্রশ্ন ছিল নতুন মৌসুম দ্রুত শুরু করা সম্ভব কি না। সালাম বলেন, ‘আমাদের টার্গেট রয়েছে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যেই ফুটবল মাঠে নামনোর। তবে তা নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের ওপর। আশা করি তখন এই ভয়ঙ্কর অবস্থা থাকবে না। এরপর আবার ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কেননা এটা কারোর অজানা নয় অধিকাংশ ক্লাব চলে ডোনেশনের ওপর। তখন তারা লিগ খেলতে প্রস্তুত কি না তাও দেখতে হবে। ক্লাবগুলো চাইলে আমাদের কোনো বাঁধা থাকবে না। যদি করোনার এই ভয়ঙ্কর অবস্থা না থাকে, যতই কঠিন অবস্থা থাক না জীবন তো আর থেমে থাকবে না। বিশ্বাস করি দ্রুত ফুটবলারদের হতাশা কেটে যাবে।’

কথা উঠেছে স্থানীয় ফুটবলারদের সুযোগ করে দিতে নতুন মৌসুমে বিদেশি ফুটবলার নিষিদ্ধ থাকবে। সালাম জানান, ‘এ ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি অনেক ক্লাবই বিদেশি ফুটবলার ছাড়া লিগে অংশ নিতে চাইবে না। তবে কোটা কমবে পারে।’ কত জন হতে পারে? সালাম বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত দেবে ক্লাবগুলো। তারা যদি একেবারে না চায় তাও আমরা রাজি। আবার তিনজন খেলতে পারবে, আর চার জনের নাম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে তাতেও আমাদের আপত্তি থাকবে না।’ গত দুবছর চারজন বিদেশি খেলত। রেজিস্ট্রেশন করা যেত ৫ জনের নাম।

সর্বশেষ খবর