রবিবার, ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

উপেক্ষিত দেশি কোচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

উপেক্ষিত দেশি কোচ

বিপ্লব ভট্টচার্য

ফুটবলে বারবার কোচ বদল হওয়ায় বাফুফেকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। অনেক ফুটবলার বা কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল এই কোচ বদলই ফুটবল উন্নয়নে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফেডারেশন বোধ হয় এই কালচার থেকে বের হয়ে এসেছে। কোনো ট্রফি উপহার না দেওয়ার পরও ইংলিশ কোচ জেমি ডের সঙ্গে তৃতীয় মেয়াদে চুক্তি করেছে বাফুফে। নতুন চুক্তিতে আরও দুই বছর জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকবেন জেমি। তাকে ধরে রাখায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা খুশি। তাদের বক্তব্য জেমির সঙ্গে আমাদের চমৎকার বোঝাপড়া হয়ে গেছে। উনি আমাদের সবার পারফরম্যান্স সম্পর্কে জানেন। আমরা গুছিয়ে খেলতে পারছি তার প্রশিক্ষণে।

বর্তমানে খেলোয়াড়রা খুশি। কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার বিপ্লব ভট্টচার্য প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জেমিকে কি খুবই জরুরি ছিল। এটাও ঠিক এখন যে পরিস্থিতি তাতে তার চেয়ে ভালোমানের কোচ খুঁজে পাওয়া যেত না। আর সম্ভাবনা নেই বলে হয়তো বা রাজিও হয়ে গেছেন জেমি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই দুই বছরে দেশি কোনো কোচকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া যেত না। শফিকুল ইসলাম মানিক, মারুফুল হক বা সাইফুল বারী টিটুর কী কোনো যোগ্যতা ছিল না। মানভালো বলেই তো তারা ঘরোয়া ফুটবলে বড় বড় দলের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাছাড়া করোনাভাইরাসে বিশ্ব জুড়েই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। বাফুফে থেকেও বলা হচ্ছে ফান্ডের সমস্যা। জানি না প্রতি মাসে জেমি কত টাকা পাবেন। তবে অঙ্কের পরিমাণ ভালোই হবে এটা নিশ্চিত। এর চেয়ে দেশি কোচকে দায়িত্ব দিলে খরচের পরিমাণও অনেক কমতো। জেমি কি জাতীয় দলের জন্য এতই অপরিহার্য। অনেক বিদেশি কোচের অধীনে খেলেছি। কিন্তু এ ইংলিশ কোচের কাণ্ডজ্ঞান দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। কথায় কথায় তিনি ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে যান। প্রফেশনাল যুগে বাফুফেও অনুমতি দিয়ে দেয়। এমনও দেখা গেছে টুর্নামেন্ট শুরুর ৩/৪ দিন আগে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। অথচ তারই সঙ্গে কি না পুনরায় চুক্তি হলো। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জাতীয় দল ব্যর্থ হলে দেশি কোচকে যেন আসামি বানিয়ে ছাড়ে। জেমি কি সাফল্য এনে দিতে পেরেছেন? তারপরও দেশি কোচরা উপেক্ষিত।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর