তিন ফুটবলার আক্ষেপের সুরে বলেন, একটু অপেক্ষা করলে দর্শকহীন অবস্থায় লিগ শেষ করা যেত। কিন্তু তা আর হয়নি। এতে ফুটবলের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপরও প্রভাব পড়বে। ফুটবলাররা চান দ্রুত ঘরোয়া আসরের তারিখ নির্ধারণ করতে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ম্যাচ দিয়েই জামালরা মাঠে ফিরছেন। দীর্ঘ চার মাস মাঠের বাইরে থেকে অক্টোবরেই খেলায় ফিরছেন ফুটবলাররা। জাতীয় দলের গুরুত্বই আলাদা।
ফুটবলাররা চাচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব অনুশীলন শুরু করা। গতকাল বাফুফে ভবনে ৩০ জন ফুটবলারের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেখানেই তিনি ঘোষণা দেন, এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হবে। বৈঠকে বাফুফে সহ-সভাপতি ও জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান নাবিল আহমেদ এমপি ও আরেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ফুটবলাররা বলেন, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে জান-প্রাণ দিয়ে লড়তে প্রস্তুত। ঘরের মাঠে অন্তত একটি ম্যাচ জেতার টার্গেট রয়েছে তাদের। ফুটবলারের পক্ষ থেকে তিন সিনিয়র ফুটবলার ওয়ালি ফয়সাল, মামুনুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম রানা বক্তব্য রাখেন। তিনজনই আক্ষেপের সুরে বলেন, একটু অপেক্ষা করলে দর্শকহীন অবস্থায় লিগ শেষ করা যেত। কিন্তু তা আর হয়নি। এতে ফুটবলের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপরও প্রভাব পড়বে। ফুটবলাররা চান দ্রুত ঘরোয়া আসরের তারিখ নির্ধারণ করতে।
সালাউদ্দিন জানান, আমি নিজে ফুটবলার ছিলাম। তাই ফুটবলারদের কষ্টটা বুঝি। কিন্তু করোনাভাইরাসে কোনোভাবেই শুরু সম্ভব ছিল না বলে পেশাদার লিগ বাতিল হয়েছে। তাছাড়া সব ক্লাবই লিগ বাতিলের দাবি তুলেছিল। যাক এখন নতুন মৌসুমের চিন্তাভাবনা করছি। সালাউদ্দিন নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দিতে পারেননি। তবে আশ্বাস দিয়েছেন, নভেম্বর বা ডিসেম্বরের দিকে একটি টুর্নামেন্টে দিয়ে ঘরোয়া আসর মাঠে নামানো। নতুন মৌসুমের চুক্তি নিয়েও কথা উঠেছে।
বাফুফের সভাপতি খেলোয়াড়দের বলেন, এ নিয়ে আমি শিগগিরই ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলব, তবে এতটুকু বলতে পারি, খেলোয়াড়রা যেন ভোগান্তির শিকার না হয়, তা তিনি ভালোভাবে দেখবেন। লিগ না হলেও অনেক ফুটবলারই পারিশ্রমিকের অর্ধেকের বেশি পেয়ে গেছেন। তাই ক্লাবগুলো নতুন মৌসুমে দলবদল আর করতে চাইছে না। তবে অর্থের পরিমাণ তারা বাড়াতে রাজি আছে।
মূলত জাতীয় দলের ক্যাম্প নিয়ে বৈঠক ডাকা হলেও খেলোয়াড়রা পেশাদার লিগ শুরুর ব্যাপারে জোরালো দাবি জানান। অনেক ফুটবলারই অসমাপ্ত মৌসুমের কোনো অর্থ পাননি। এরা বড্ড কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। মামুনুলদের দাবি, অবশ্যই বিষয়টি বাফুফেকে দেখতে হবে। মুঠোফোনে তপু বর্মণ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সালাউদ্দিন ভাই আমাদের সব কথাই মন দিয়ে শুনেছেন। আশ্বাসও দিয়েছেন অচলাবস্থা দূর করার।