শিরোনাম
সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়

সাউদাম্পটন টেস্ট

ক্রীড়া ডেস্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়

ক্রিকেট ইতিহাসে এমনটি আর কখনো হয়নি। মাঠে খেলা চলছে, ব্যাট ও বলের দুর্দান্ত লড়াই করছেন ক্রিকেটাররা, অথচ খেলা উপভোগ করতে পারছেন না একজন দর্শকও। ১৪৩ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি দর্শক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এমন ব্যবস্থা। কভিড-১৯ ভীতি এড়িয়ে ১১৭ দিন পর মাঠে গড়িয়েছে ক্রিকেট। সাউদাম্পটনের রোজ বৌল স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক টেস্টটি ৪ উইকেটে জিতে ইতিহাস লিখেছেন জেসন হোল্ডার, শ্যানন গাব্রিয়েল, জার্মেইন ব্ল্যাকওড, রস্টন চেজরা। তিন টেস্ট ম্যাচ সিরিজের পরেরটি ম্যানচেস্টারে ১৬ জুলাই। শেষ টেস্টও ম্যানচেস্টারে ২৪ জুলাই। 

প্রথম দিন বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হয়েছে খেলা। এরপর আর কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে ক্রিকেটপ্রেমীরা উপভোগ করেছেন করোনা-পরবর্তী টেস্ট। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন দাপুটে বোলিং করেন দুই ক্যারিবীয় পেসার জেসন হোল্ডার ও শ্যানন গাব্রিয়েল। তাদের সাঁড়াশি আক্রমণে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে ক্যারিবীয়রা ৩১৮ রান তুলে এগিয়ে যায় ১১৪ রানে। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালোই করে স্টোকস বাহিনী। এক পর্যায়ে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে বড় স্কোরের পথে এগোচ্ছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ৬০ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। গাব্রিয়েল নেন ৫ উইকেট। ম্যাচে তার শিকার ৯ উইকেট। ২০০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জোফরা আর্চারের গতির কাছে নাকাল হয় সফরকারীরা। স্কোর বোর্ডে ৭ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ২ উইকেট। ওপেনার ক্যাম্পবেল আহত হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। দলীয় ২৭ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট। এরপর সেখান থেকে রস্টন চেজ ও ব্ল্যাকওড চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৩ রান যোগ করতে আঘাত হানেন আর্চার। চেজ বিদায় নিলেও ব্ল্যাকওড একাই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। তবে দুর্ভাগ্য তার। নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৯৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। ১৫৪ বলের ম্যাচসেরা ইনিংসটিতে ছিল ১২টি বাউন্ডারি। ২৯ নম্বর টেস্টে এটি তার ১১ নম্বর হাফসেঞ্চুরি। এর আগেও একবার নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে ৯২ রানে আউট হয়েছিলেন ব্ল্যাকওড।

সর্বশেষ খবর