কাজী সালাউদ্দিন
ফুটবলে ১০ নম্বর জার্সির আলাদা কদর রয়েছে। পেলে ও ম্যারাডোনা ১০ নম্বর জার্সি পরেই বিশ্বকাপ জিতেছেন। দেশের সুপারস্টার ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন আবাহনীতে ১০ নম্বর জার্সিতেই মাঠ কাঁপান। বাংলাদেশে অভিষেক ফুটবল লিগে ২৪ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ১৯৭৫ সালে আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ডাবল ও ১টি হ্যাটট্রিকে ফুটবল লিগে নতুন রেকর্ড গড়েন তিনি। জাতীয় দলে যত দিন খেলেছেন ১০ নম্বর জার্সিই গায়ে চড়িয়ে মাঠে নামেন সালাউদ্দিন।
হাফিজ উদ্দিন আহমদ
ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানে ১০ নম্বর জার্সির বড় তারকার নাম হাফিজ। নানা
ষড়যন্ত্রের পরও বাঙালি খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তান দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। স্বাধীনতার পর হাফিজই লিগে প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিক করেন। ১৯৭৬ সালে তার নেতৃত্বে সাদা কালোরা লিগ জিতে। ফাইনালে আবাহনীর বিরুদ্ধে ২ ও সেমিতে বিজেআইসির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন হাফিজ।
এত বড় তারকা হয়েও বাংলাদেশে জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি তার।
এনায়েতুর রহমান
শট নয় যেন কামানের গোলা। যারা এনায়েতের খেলা দেখেছেন, তাদের মুখে এ কথা উচ্চারিত হবেই। তার মতো দুর্দান্ত শট আর কেউ নিতে পারতেন না। ১৯৭৩ সালে বিআইডিসি বাংলাদেশে প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়নের পেছনে বড় অবদান রাখেন এনায়েতই। আন্তর্জাতিক ফুটবলে জাতীয় দলে প্রথম গোলদাতা তিনিই। ১৯৭৮ সালে মোহামেডানে যোগ দেওয়ার পর ১০ নম্বর জার্সি আর গায়ে চড়েনি। কিন্তু জ্বলে ওঠেন ঠিকই। সেবারই সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ১০ নম্বর জার্সিতে এনায়েত ছিলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার।
বাদল রায়
মোহামেডানে শুরু মোহামেডানেই শেষ। ক্যারিয়ারে অন্য কোনো দলে খেলেননি বাদল। ঘরোয়া আসরে ৭ নম্বর জার্সিতে অভিষেক তার। তবে ১০ নম্বর জার্সিতে ১৯৮১ সালে তিনি ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালোর নেতৃত্ব পান। নিজে খেলতেন অপরকেও খেলাতেন। টিম মেকারের সব গুণাবলীই বাদলের মধ্যে ছিল। সতীর্থ সালাম মুর্শেদীর রেকর্ড গড়া ২৭ গোলে পেছনে বাদলের সহযোগিতা ভোলবার নয়। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বার নেতৃত্ব
পেয়ে মোহামেডানকে অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন করান বাদল।
রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির
১৯৮৭ সালে মোহামেডানে যোগ দেওয়ার পর সাব্বিরের জার্সি নম্বর ছিল এগারো। ১৯৯০ সালে তার গায়ে চড়ে বিখ্যাত নম্বর টেন জার্সি। এমনিতেই সাব্বির ছিলেন গতিময়। ১০ নম্বর গায়ে চড়ে তিনি যেন ঢাকা এক্সপ্রেস হয়ে যান। নিজের গোল সংখ্যা কম হলেও মোহামেডানের অসংখ্য গোলের উৎস ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে তার নেতৃত্বে মোহামেডান ডামফা কাপ ও লিগ জয় করেছিল। ১৯৯৪ সালেও মোহামেডানের অধিনায়ক হলেও ইনজুরির কারণে অধিকাংশ সময় ছিলেন মাঠের বাইরে।