সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবার বার্সা-বায়ার্ন

রাশেদুর রহমান

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবার বার্সা-বায়ার্ন

নেপোলির ডি বক্সে মেসিকে ঘিরে আছেন ডিফেন্ডাররা। কোনো রকমে ভারসাম্য রক্ষা করে মাটিতে বসতে বসতেই বাম পায়ের শটে জটলার মধ্য থেকে দারুণ এক গোল করলেন আর্জেন্টাইন তারকা। মেসির এই দুর্দান্ত গোলটা বার্সেলোনাকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথ দেখিয়ে দিল। অবশ্য তার আগেই ফরাসি ডিফেন্ডার লেঙলেটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কাতালানরা।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে গত শনিবার ন্যু ক্যাম্পে ৩-১ গোলে নেপোলিকে হারিয়েছে বার্সেলোনা। মেসি ও লেঙলেট ছাড়াও বার্সেলোনার পক্ষে গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে জয় পেয়েছেন মেসিরা। শেষ আটে কাতালানদের দেখা হবে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে।

শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখ ৪-১ গোলে হারিয়েছে চেলসিকে। প্রথম লেগে তারা জয় পেয়েছিল ৩-০ গোলে। গত শনিবার বায়ার্ন মিউনিখের পক্ষে দুটি গোল করেন পোলিশ তারকা রবার্ট লেবানডস্কি। এছাড়াও একটি করে গোল করেন পেরিসিচ ও তুলিসো। চেলসির পক্ষে একটি গোল করেন আব্রাহাম।

 নেপোলির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেশ সতর্ক ছিল বার্সেলোনা। লা লিগা ও কোপা দেল রে কাপে ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি মৌসুমে কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগই বাকি আছে বার্সেলোনার সামনে। এজন্য নেপোলিকে তেমন কোনো সুযোগ দিতে চায়নি কাতালানরা। কিন্তু নেপোলির বিপক্ষে ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচেই বার্সেলোনার অনেক ফাঁক-ফোকর চোখে পড়েছে। পিকের ভুলে

শুরুতেই গোল পেতে পারত নেপোলি। ম্যাচজুড়েই নেপোলি অনেক সুযোগ পেয়েছে। সেগুলো তারা কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের চৌকষ ফরোয়ার্ড লাইন এসব সুযোগে গোল করতে ভুল করবে না মোটেও!

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা-বায়ার্ন মিউনিখ লড়াই অনেকটাই নিয়মিত হয়ে গেছে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথমবার দুদলের দেখা হয়েছিল ১৯৯৫-৯৬ সালে, ইউরোপা লিগে। সেবার সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে দেখা হয় দুই দলের। দুই লেগেই জয় পায় বায়ার্ন মিউনিখ।

২০০৯ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে এবং ২০১৩ ও ২০১৫ সালে সেমিফাইনালে আবার দেখা হয় দুদলের। ২০০৯ ও ২০১৫ সালে জয় পায় বার্সেলোনা। ২০১৩ সালে জয় পায় বায়ার্ন মিউনিখ। আবারও কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হচ্ছে দুই জায়ান্ট ক্লাবের। কে জিতবে বলা কঠিন। তবে সমর্থকরা এমন লড়াই দেখার জন্য মরিয়া হয়েই অপেক্ষায় থাকবে।

এ লড়াই নিয়ে বার্সা কোচ বলেছেন, ‘এখন কেবল কঠিন ম্যাচগুলোই বাকি আছে। সামনের ম্যাচ আমাদের জন্য যেমন কঠিন হবে তেমনি বায়ার্নের জন্যও কঠিন হবে। তারা যেমন ভালো দল তেমনি আমরাও।’ বায়ার্ন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেছেন, ‘আমরা এবার বার্সেলোনা ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেব অন্য ম্যাচগুলোর মতোই। আমরা সামনের ম্যাচেও নিজেদের শতভাগ শক্তি প্রদর্শন করতে চাই।’ তিনি  আরও বলেন, ‘কেবল মেসি নন আমরা বার্সেলোনার সবাইকে নিয়েই ভাবছি।’

 

 

৩৫

লিওনেল মেসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ৩৫টি ভিন্ন ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেছেন। দুইয়ে থাকা রোনালদো ৩৩টি ভিন্ন ক্লাবের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করেছেন।

 

৫৭

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার কাছে পরাজিত হওয়া ৫৭তম দল নেপোলি। ইউরোপসেরা ক্লাব প্রতিযোগিতায় এরচেয়ে বেশি প্রতিপক্ষকে কেবল রিয়াল মাদ্রিদই হারিয়েছে (৫৮টি)।

 

৩৬

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকল বার্সেলোনা। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এরচেয়ে বেশি ম্যাচে নিজেদের মাঠে অপরাজিত থাকার রেকর্ড আছে কেবল বায়ার্ন মিউনিখের (৪৩ ম্যাচ)।

 

১৩

বার্সেলোনাই প্রথম দল যারা টানা ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল। এর আগে ৮ বারের বেশি কেউ এই রেকর্ড গড়তে পারেনি।

 

১৮

বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ দুটা দলই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৮ বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। অন্য কোনো ক্লাবই এতবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে খেলেনি।

সর্বশেষ খবর