মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্যাম্পেও করোনা আতঙ্ক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্যাম্পেও করোনা আতঙ্ক

বাফুফের ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই ফুটবলারদের টেস্ট করানো হয়। তিন ধাপের দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষা করানোর পরই দেখা দেয় জটিলতা। কেননা প্রথমদিনে ১২ জনের মধ্যে ৪ জনের রিপোর্টে পজিটিভ ধরা পড়ে। দ্বিতীয় দিনে আরও ৭ জন। অথচ শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় টেস্ট করা ২৪ জন ফুটবলারের মধ্যে ১৮ জনই করোনা আক্রান্ত। হতাশা নেমে আসে খেলোয়াড় ও বাফুফে কর্মকর্তাদের মধ্যে। পরের দিন বাফুফের চিকিৎসক ডা. ইমরানও স্বীকার করেন ঘটনা সত্য। তারপরও সন্দেহ জাগে এতজন ফুটবলার পজিটিভ শনাক্ত হয় কীভাবে? টেস্টে ভুল রিপোর্টও আসতে পারে। শনিবার ৬ ফুটবলার টেস্ট করালে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানতে পারেন তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ।

বাফুফে সিদ্ধান্ত নেয় সোমবার পৃথক দুই হাসপাতালে ৩০ জন ফুটবলারের পুনরায় পরীক্ষা করানো হবে। তবে রিপোর্ট জানা যাবে আজ। গতকাল গাজীপুর সারাহ রিসোর্টে প্রভা হাসপাতাল ও আইসিডিডিআরবি ৩০ খেলোয়াড়ের টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। সঙ্গে কোচ, অফিসিয়ালদেরও। গতকাল বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, ‘মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে সবারই রিপোর্ট পেয়ে যাব আশা রাখি। বিশ্বনাথ ঘোষ প্রথম ফুটবলার যার করোনা ধরা পড়ে। এখন নেগেটিভ হলেও তাকেও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কেননা দুবার নেগেটিভ প্রমাণ না হলে কাউকে করোনামুক্ত বলা যাবে না।’

প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ও ডিফেন্ডার তপু বর্মণের পুনরায় নমুনা নেওয়া হল কেন? এভারকেয়ার ও বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তারা নেগেটিভ প্রমাণিত। আসলে করোনা নিয়ে বাফুফে এতটা চিন্তিত হয়ে পড়েছে যে তারা কি করবে তা ঠিক করতে পারছে না। দুই হাসপাতালেই সবার টেস্ট হচ্ছে। কিন্তু দুই হাসপাতালের রিপোর্ট যদি পৃথক আসে তখন কি ঘটবে। এ নিয়ে বাফুফে সু-নির্দিষ্ট জবাব দিতে পারছে না। ডা. ইমরান বলেন, যাদের পজিটিভ ধরা পড়েছে তাদের শরীরে করোনার ভয়ঙ্কর কোনো উপসর্গ নেই। আশা করি তারা দ্রুত অনুশীলনে ফিরতে পারবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর