মাঠে নামাটা ফুটবলারদের জরুরি হয়ে পড়েছিল। ঘরোয়া মৌসুম অনিশ্চয়তায় থাকলেও অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নামার সুযোগ ছিল ফুটবলারদের। শেষ পর্যন্ত তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা এশিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে পিছিয়ে গেছে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বও। ২০২১ সালে বাকি ম্যাচগুলো হবে তা ফিফা তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে। তবে কবে হবে সে তারিখ চূড়ান্ত করেনি। প্রস্তুতি শুরু হওয়ার আগেই ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেল। এটা ফুটবলারদের জন্য দুঃসংবাদই বটে। তবে আবার স্বস্তিদায়ক বললেও ভুল হবে না। কেননা ক্যাম্পে অধিকাংশ ফুটবলারই করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে আবার তিনজন ইনজুরিতে। দুই প্রবাসী ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া ও তারিক রায়হান কাজীর ঢাকা ফেরা নিয়ে সংশয় ছিল।
সমস্যা আরও একটা ছিল। প্রায় একই সময়ে জাতীয় দল বিশ্বকাপ বাছাই ও বসুন্ধরা কিংসকে খেলতে হতো এএফসি ক্লাব কাপে। কিংসের প্রতিটি ম্যাচ আবার মালদ্বীপে। এখানে যারা জাতীয় দলে সুযোগ পেতেন তাদের দুই টুর্নামেন্ট খেলতে হতো। স্বাভাবিকভাবেই এখানে ক্লান্তির ব্যাপার জড়িয়ে ছিল। সব মিলিয়ে বড় ধরনের জটিলতার মধ্যে এগুচ্ছিল। এখন আর সেই দুশ্চিন্তা করতে হবে না বসুন্ধরা কিংসকে। তারা রিলাক্সমুডে মিশনে নামতে পারবে। অন্যদিকে জাতীয় দলও হাতে সময় পাচ্ছে অনেক। টুর্নামেন্ট যখন স্থগিত ঘোষণা করে ফিফা তখনই বাফুফে একটা সুখবরও পায়। এর আগে ১৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হলেও পরবর্তীতে দুই প্রতিষ্ঠানে পুনরায় সব ফুটবলারের টেস্ট করানো হয়। সেখানে নেগেটিভের সংখ্যা বেশি। জাতীয় দলের সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়াটা স্বস্তিদায়ক। ফুটবলাররা দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে। এরপর আবার করোনা আক্রান্তে মানসিক দিক দিয়ে দুর্বল ছিল তারা। এ অবস্থায় শুধু অনুশীলন করে ম্যাচে নামলে ফল ভালো হতো না। এখন হাতে সময় এসেছে। প্রস্তুতিটাও নেওয়া যাবে নতুনভাবে। বাফুফের উচিত হবে এ সময়ে ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু করা।’