সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ইতিহাস গড়ে সেমিতে লিও

কোয়ার্টারেই আটকে গেল ম্যানসিটি

ক্রীড়া ডেস্ক

ইতিহাস গড়ে সেমিতে লিও

ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’ গেরোটা খুলতে পারলেন না স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্ডিওলা। গত শনিবার পর্তুগিজ শহর লিসবনের হোসে অ্যালভালাড স্টেডিয়ামে ম্যানসিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিও। এর ফলে গার্ডিওলার অধীন ম্যানসিটি টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল। আগের দুবার তারা হেরেছিল লিভারপুল (২০১৭-১৮) এবং টটেনহ্যামের (২০১৮-১৯) কাছে। ম্যানসিটিকে বিদায় করে ইতিহাসই গড়ল অলিম্পিক লিও। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে একই সঙ্গে দুটি ফরাসি ক্লাব খেলছে (পিএসজি ও লিও)।

ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলাররা কোচ পেপ গার্ডিওলার শিখিয়ে দেওয়া ফুটবলটা ঠিকঠাকই খেলেছেন। ম্যাচের পরিসংখ্যানটাই তার প্রমাণ। বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ছিল তার দল (৭২ শতাংশ)। পাসিংয়ের দিক দিয়েও অনেক এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি (৬৩৭টি পাস)। লিও ম্যাচজুড়ে কেবল ২৫৭টি পাস খেলেছে। আক্রমণের সংখ্যায় কিংবা শৈল্পিক ফুটবল, সব দিক দিয়েই এগিয়ে ম্যানসিটি। কিন্তু ম্যানসিটির এই কৌশলটা বেশ জানা ছিল অলিম্পিক লিওর ফরাসি কোচ রুডি গার্সিয়ার। তার রণকৌশল ছিল, বলের পিছনে খুব একটা ছোটার প্রয়োজন নেই। স্টারলিং, ডি ব্রুইন, জেসুসদের মাঝখানে শক্ত দেয়ালের মতো বাধা হয়ে দাঁড়ালেই ম্যানসিটি ভুল করবে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে হবে। ম্যাচ শেষে ফলাফলটা লিওর পক্ষে গেল এ কারণেই। শিকারির মতো সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে থাকা লিওর ফরাসি স্ট্রাইকার মুসা ডেম্বলে ৭৯ ও ৮৭ মিনিটে দুটি গোল করেন। ম্যানসিটির গোলরক্ষক আর ডিফেন্সের ভুলে গোল দুটি করেন তিনি। এর আগে প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে আইভরি কোস্টের ম্যাক্সওয়েল কর্নেটের গোলে এগিয়ে যায় লিও। তবে দ্বিতীয়ার্ধে (৬৯ মিনিটে) কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে সমতায় ফিরে ম্যানসিটি।

টানা তৃতীয়বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর দুঃখ পেলেও আশা ছাড়ছেন না গার্ডিওলা।  তিনি বলেছেন, ‘আমরা একদিন কোয়ার্টার ফাইনালের বাধাটা পাড়ি দিব।’ পাশাপাশি তিনি বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে হলে দলটাকে একেবারে পারফেক্ট হতে হবে। তার দলের মধ্যে তা ছিল না। অন্যদিকে ম্যানসিটিকে হারানোর পর লিওর কোচ রুডি গার্সিয়া বলেছেন, ‘আমরা জানি পরবর্তী প্রতিপক্ষ কারা। জুভেন্টাস ও ম্যানসিটির মতোই বায়ার্ন মিউনিখও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফেবারিট। আমরা জুভেন্টাস ও ম্যানসিটিকে বিদায় করেছি। এবার আমরা বায়ার্নের জন্য প্রস্তুতি নিব।’ বায়ার্ন মিউনিখ ৮-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনাকে। জার্মান জায়ান্টরা বেশ কঠিন প্রতিপক্ষই হবে লিওর জন্য। তাছাড়া ২০০৯-১০ মৌসুমে এই বায়ার্নের কাছেই সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে হেরেছিল লিও। এবার এক লেগের সেমিফাইনালে ফরাসিরা প্রতিশোধ নিতে পারবে কি না বলা কঠিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর