১৯৭৩ সালের কথা। বাংলাদেশ জাতীয় দল মারদেকা কাপে খেলতে যাবে। প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেব। তাই খেলোয়াড়দের অনুভূতিই ছিল আলাদা। আমি দলের অধিনায়ক। মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করি। আমাদের দেখা মাত্রই বঙ্গবন্ধু তালি বাজিয়ে বললেন, আমার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। বাংলাদেশ ফুটবলে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে। দোয়া করি তোদের জন্য। সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কুশলবিনিময় করলেন বঙ্গবন্ধু। আমাকে দেখে বললেন, কিরে ক্যাপ্টেন কেমন আছিস। এরপর হাসতে হাসতেই বললেন, তোদের দেখে তো আমার হিংসা হচ্ছে। ফুটবলার তো আমিও ছিলাম কিন্তু জাতীয় দলে খেলতে পারলাম না। এরপর বললেন, এত দ্রুত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলবে আমিও ভাবিনি। যাক, সুযোগ যখন এসেছে কাজে লাগাতে হবে।
আমাকে বললেন, তুই তো ভাগ্যবান। জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক হয়ে গেলি। মনে রাখবি অধিনায়ক হওয়া মানেই অন্যদের অভিভাবক হয়ে যাওয়া। তুই অধিনায়ক, দায়িত্ব অনেক। শুধু মাঠে, নয়, বাইরের দিকটাও দেখতে হবে। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। মনে রাখিস আমরা স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম দেশের বাইরে যাচ্ছি। খেয়াল রাখবি কেউ যেন শৃঙ্খলা না ভাঙে। এর সঙ্গে দেশের সুনামও জড়িত।