রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ছাড় দিতে প্রস্তুত ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসে বিশ্বের সব খেলাধুলা বন্ধ ছিল।  বাংলাদেশে স্থগিত হওয়ার পর পেশাদার লিগ আর মাঠে গড়াতে পারেনি। করোনাভাইরাসে ক্লাবগুলোর সম্মতি নিয়েই বাতিল করে বাফুফে। মার্চ মাস থেকেই ফুটবলাররা অলস সময় কাটাচ্ছেন। ফিটনেস ও পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব পড়ছে। নতুন মৌসুম মাঠে নামানোর লক্ষ্য নিয়ে কিছুদিন আগে লিগ কমিটি ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে।

সব ক্লাবই চায় ফুটবল মাঠে গড়াক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ফুটবলারদের পারিশ্রমিক নিয়ে। কেননা বাতিল হলেও কোনো ক্লাব ছয় বা লিগে পাঁচ ম্যাচ খেলেছে। অথচ অনেক ক্লাবই ফুটবলারদের আশি থেকে পঞ্চাশ ভাগ পেমেন্ট মিটিয়ে দিয়েছে। ক্লাবগুলো চাচ্ছে আগের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে। বাকি বকেয়া শোধ তো করবেই। নতুনভাবে অর্থ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ক্লাবের এ প্রস্তাব নিয়ে লিগ কমিটি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসবে। কথা হচ্ছে ফুটবলাররা নতুন দলবদল ছাড়া খেলতে রাজি হবে কি না। কিংবা ফুটবলের স্বার্থে ছাড় দিতে প্রস্তুত কি না?

বসুন্ধরা কিংসের অভিজ্ঞ ফুটবলার তপু বর্মন বলেন,‘আমি চাই দ্রুত ফুটবল মাঠে গড়াক। এত দিন বন্ধ থাকায় এমনিতেই ফুটবলের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এখন যত দেরি হবে আরও নিস্তেজ হয়ে পড়ব। পারিশ্রমিক নিয়েই মূলত আলোচনা হবে। লিগে ৬ ম্যাচ ছাড়াও ফেডারেশনকাপ খেলেছি। আমার ক্লাব সামনে এএফসি কাপও খেলবে। অনুশীলন করেছি দীর্ঘ সময় ধরে। সুতরাং আমরা একেবারে ফ্রি টাকা নিয়েছি তা তো নয়। ফুটবলের স্বার্থে অবশ্যই আমি ছাড় দিতে রাজি। এখানে ক্লাবও আমার স্বার্থ দেখবে। দুটো যদি মিলে যায় তাহলে কেন ছাড় দেব না। লিগ মাঠে গড়ালে তো জাতীয় দলও উপকৃত হবে।’

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের তারকা গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘ক্লাবগুলো কি চিন্তা ভাবনা করছে তা আমি জানি না। তবে এটা ঠিক উভয় পক্ষই সংকটে আছি। ছাড় দিতে প্রস্তুত অবশ্যই তা সহনশীল হতে হবে। আমরা আর বসে থাকতে চাই না।’ ঢাকা আবাহনীর স্টাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন জানান, ‘এখানে ফুটবলারদের শুধু ছাড়ের প্রশ্ন উঠবে কেন? ক্লাবগুলোও নিশ্চয় আমাদের স্বার্থ দেখবে। তা না হলে সবকিছু ফলপ্রসূ হবে কিভাবে? লিগ বাতিল হয়েছে আমরা তো চুক্তি অনুযায়ী অর্ধেক ম্যাচ খেলে ফেলেছি। আমার বিশ্বাস সেদিকটা গুরুত্ব দিয়েই ক্লাব নতুন মৌসুমে চুক্তি করবে?’

সর্বশেষ খবর