রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নিষিদ্ধ নয়, বিদেশি কোটা কমানো দরকার

পেশাদার ফুটবল লিগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ নয়, বিদেশি কোটা কমানো দরকার

মামুনুল ইসলাম

ফুটবলে নতুন মৌসুম নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। সংকট কাটাতে লিগ কমিটির সঙ্গে তিন দফা বৈঠক হয়েছে। এতেও কোনো কিছুর সুরাহা হয়নি। ফুটবলাররা নতুন মৌসুমে পুরনো ক্লাবেই খেলতে রাজি। তবে তারা চায় বাতিল হওয়া লিগে সব পাওনা মিটিয়ে নতুন মৌসুমে ৫০ ভাগ পারিশ্রমিক বাড়ানো। কিন্তু ক্লাবগুলো ২০ ভাগের বেশি বাড়াতে চায় না। তারপর আবার কথা উঠেছে, নতুন মৌসুমে বিদেশি ফুটবলার বাদ দিয়ে আসর নামানোর। এ ব্যাপারে কথা হয় জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ফুটবলার মামুনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশের ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে ছাড় দিতে আমরা রাজি আছি। আমরা চাই ফুটবল মাঠে গড়াক। আমার বিশ্বাস এ জটিলতা শিগগিরই কেটে যাবে।

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক (ক্রীড়া) সালেহ জামান সেলিম বলেন, ‘আলোচনা চলছে। এখানে আমরা চূড়ান্ত কোনো মন্তব্য করতে পারি না। সব ক্লাব যা চাইবে তা হবে। যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা কেটে যাবে আশা রাখি। খেলোয়াড় ও ক্লাব উভয়পক্ষ চায় দ্রুত ফুটবল মাঠে গড়াক। এখানে জটিলতার কিছু দেখছি না। লিগ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে কিছু ক্লাব আসন্ন মৌসুমে বিদেশি না খেলানোর ব্যাপারে মত দিয়েছে। এ ব্যাপারে সেলিম জানান, ‘বিদেশি খেলবে কি খেলবে না এ সিদ্ধান্ত বাফুফের। তবে আমি চাই একেবারে নিষিদ্ধ না করে কোটা কমানোর। কেননা কিছু ক্লাব আছে বিদেশি ছাড়া দলই গড়তে পারবে না। তবে বিদেশি ছাড়া পেশাদার লিগ হবে বড্ড বেমানান।

অন্য দিকে মামুনুল বলেন, ‘বিদেশির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে ফেডারেশন। তবে আমার কথা হলো যেখানে স্থানীয়দের পেমেন্ট দিতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে এ অবস্থায় ক্লাবগুলো বিদেশিদের খেলাবে কীভাবে? ওরা কি আর ছাড় দেবেন? পুরো পেমেন্টই নেবে। যদি চার জন উঁচুমানের বিদেশি থাকে একেক জনকে ১০ হাজার ডলার বেতন দিতে হবে। একটু নিচু মানের হলেও ৫ হাজার ডলারের কম না। যদি টাকাই না থাকে এক মৌসুমে বিদেশি ছাড়া লিগ হলে ক্ষতিতো নেই। স্থানীয় ফুটবলারদের দিয়েও তো অতীতে লিগ জমজমাট হয়েছে। তারপরও যদি প্রয়োজন খুব বেশি হয় দুই জন করে বিদেশি ফুটবলার খেলানোর অনুমতি দেওয়া

যেতে পারে। এতে করে দেশি ফুটবলার উপকৃত হবে।

সর্বশেষ খবর