শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ বাদল ও মানিকের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ বাদল ও মানিকের

না ফাঁকা মাঠে কেউ পার পাবেন না। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সব প্রার্থীকে ভোট যুদ্ধে মুখোমুখি হতে হবে। তরফদার মো. রুহুল আমিন ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় ধারণা করা হচ্ছিল বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় কাজী সালাউদ্দিন টানা চতুর্থ বার সভাপতি চেয়ারে বসবেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও আবদুস সালাম মুর্শেদী ছাড়া কারোর নাম শোনা যাচ্ছিল না। কিন্তু মনোনয়নপত্র বিক্রির

শেষ দিনে চমকের পর চমক। সালাউদ্দিন প্যানেল মনোনয়নপত্র কেনার আগেই জাতীয় দলের সাবেক দুই ফুটবলার বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিক সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র কেনেন। আরেক নন্দিত ফুটবলার শেখ মো. আসলাম কেনেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন।

২০০৮ সালে সালাউদ্দিনের বিপক্ষে প্যানেলে বাদল রায় নির্বাচন করেন। এরপর দুই নির্বাচনে তিনি জোট গড়েন সালাউদ্দিনের সঙ্গে। মনোমালিন্য দেখা দেওয়ায় বাদল সহ-সভাপতি পদে থাকলেও সালাউদ্দিনের কাছ থেকে দূরে সরে যান। এমনকি প্রকাশ্যে তিনি সালাউদ্দিনের কর্মকান্ডে সমালোচনা করেন। তবে বাদল  যে সালাউদ্দিনের পদেই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তা কেউ ভাবতে পারেননি। ২০ এপ্রিল স্থগিত হওয়া বাফুফে নির্বাচনে তরফদার সভাপতি পদের জন্যই প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। আচমকা সরে যাওয়ার পরই বাদল ঘোষণা দেন ধ্বংসের হাত থেকে ফুটবলকে বাঁচাতে হলে নেতৃত্ব বদলের প্রয়োজন রয়েছে। তাই অন্য কেউ প্রার্থী হতে না চাইলেও আমিই সভাপতি পদে নির্বাচন করব। শেষ পর্যন্ত তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। অন্যদিকে মানিক নির্বাচনী কোনো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও শেষ দিনে সভাপতি পদে তার মনোনয়নপত্র কেনাটা ছিল বড় চমক।

সালাউদ্দিন প্যানেল মনোনয়নপত্র কেনার আগেই জাতীয় দলের সাবেক দুই ফুটবলার বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিক সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র কেনেন

গেল নির্বাচনে একমাত্র সালাম মুর্শেদীই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় পার পান। এবার তার বাধা হয়ে দাঁড়ালেন আসলাম। দুজনই খুলনা থেকে ঢাকায় খেলতে আসেন সত্তর দশকে। মোহামেডানে সালাম আর আবাহনীতে আসলামের জার্সি নম্বর ছিল ৯। এবার দুই তারকার নির্বাচনী লড়াইও হবে হাড্ডাহাড্ডি। তরফদার সরে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল নির্বাচন একতরফা হবে। কিন্তু সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সভাপতি তিন গুরুত্বপূর্ণ পদে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় এবারে ভোট যুদ্ধ হবে আরও উপভোগ্য। তবে শেষ পর্যন্ত সবাই নির্বাচন করবেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়।

সালাউদ্দিন, সালামের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়াটা যেমন চমক। তেমনি সহ-সভাপতি পদে নতুন মুখ ইমরুল হাসানকে ঘিরে বাফুফে ভবন ছিল আলোচনায় মুখর। সাংগঠনিক ক্যারিয়ার তার বেশি দিনের না হলেও ক্রীড়াঙ্গনে দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন ইমরুল। বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি তিনি। মাঠে খেলোয়াড়দের ক্যারিশমা তো আছেই ইমরুলের সাংগঠনিক দক্ষতায় বসুন্ধরা কিংস অভিষেক আসরেই পেশাদার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছে। শুধু দলীয় সাফল্য নয় তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবল উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে কিংস। এমন যোগ্য সংগঠককে কাছে পেতে দুই প্যানেলেই ছিল তৎপর। শেষ পর্যন্ত এক প্যানেল হওয়ায় সালাউদ্দিনদের সঙ্গী হয়েছেন আলোচিত ইমরুল। নির্বাচনে হেভিওয়েট বলে একটা কথা আছে। কিন্তু বর্তমান কমিটির কর্মকান্ড নিয়ে যে সমালোচনা হয়েছে তাতে করে কে যে চেয়ারে বসবেন বা বিদায় নেবেন বলা মুশকিল। সালাউদ্দিন প্যানেল থেকে ইমরুল ছাড়াও সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন আরেক নতুন মুখ আতাউর রহমান মানিক, আমিরুল ইসলাম বাবু ও বর্তমান সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। ভোটে জেতা শীর্ষ চার সহ-সভাপতিই চেয়ারে বসবেন। কিন্তু প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে তাবিথ আউয়াল, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও মারুফের মতো শক্তিশালী সংগঠকও রয়েছেন। সদস্য পদেও লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। ৩ অক্টোবরই দেখা যাবে হাসি-কান্নার চেহারা।

সর্বশেষ খবর