শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
পেশাদার লিগে বিদেশি ফুটবলার

চারের বদলে তিন!

‘এবার তো আর নতুনভাবে দলবদলের সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়রা পুরনো দলেই খেলবে। সেক্ষেত্রে বিদেশি ফুটবলার বাদ দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন মৌসুমে বিদেশি ফুটবলারদের দেখা মিলবে। এখন আগের মতো চারজন না কোটা কমবে তা এখন দেখার বিষয়। করোনাভাইরাসে ক্লাবগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই কয়েকটি ক্লাব লিগ কমিটির সভায় প্রস্তাব দিয়েছিল এক বছর বিদেশি ছাড়া ফুটবল মাঠে গড়াক। পরে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্লাবগুলোকে লিখিত মতামত দিতে বলেন। আর যে মতামত এসেছে তাতে বিদেশি নিষিদ্ধ হচ্ছে না এটা নিশ্চিত। কেননা পেশাদার লিগে অংশ নেওয়া ১৩ ক্লাবের অধিকাংশই বিদেশি খেলানোর পক্ষে মত দিয়েছে। তারা এ কথাও জানিয়েছে পেশাদার লিগে বিদেশি ছাড়া আসর নামানোটা হাস্যকর।

বড় ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি প্রথমে বিদেশি না খেলানোর কথা বলে। এখন তারা শুধু মতই বদল করেনি, আগের মতো চার জন করে বিদেশি খেলানোর পক্ষে। ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক নন্দিত ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, ‘এবার তো আর নতুনভাবে দলবদলের সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়রা পুরনো দলেই খেলবে। সেক্ষেত্রে বিদেশি ফুটবলার বাদ দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি চার জন করেই বিদেশি খেলানোর সিদ্ধান্তটা অটল থাকুক। এতে লিগ হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ।’

চুন্নু চাইলেও অন্য ক্লাবের আবার বিদেশি সংখ্যা কমানোর পক্ষে। এখানে শুধু অর্থের বিষয় নয়, দেশের ফুটবলারদের কথাও ভাবতে হবে। ৪ জন করে বিদেশি ১৩ ক্লাবে থাকলে কত স্থানীয় ফুটবলার খেলার সুযোগ হারাচ্ছে এটাও ভাবতে হবে। সাবেক তারকা ফুটবলার মোহামেডানের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিবের এ মত। এ ব্যাপারে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘মতামতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ক্লাবগুলো বিদেশিদের চায়। এখন কোটা আগের মতো থাকবে না কমবে সেটাই বড় বিষয়। ৭০ বা ৮০ দশকেও লিগে তিন জন করে বিদেশি খেলেছিল। এখন যদি আমরা সেই পথ অনুসরণ করি খুব কি সমস্যা হবে। তবে চূড়ান্ত সংখ্যাটা নির্ধারণ করবে ক্লাবগুলোই। সালামের এ কথায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে নতুন মৌসুমে তিন জন করে বিদেশি অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর