শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘরোয়া ফুটবলে যত সংঘর্ষ

আবাহনী বনাম ওয়ান্ডারার্স ১৯৭২

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালেই ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ মাঠে গড়িয়েছিল। সে বছরই লিগের পঞ্চম ম্যাচে আবাহনী খেলতে নামে ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে। শুরুতেই গফুরের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। প্রথমার্ধে যখন শেষের দিকে আবাহনী পেনাল্টি লাভ করে। গোলাম সারোয়ার টিপু পরাস্ত করেন গোলরক্ষক শহিদুর রহমান সান্টুকে। ব্যস এরপরই মাঠে বড় ধরনের হট্টগোল বেঁধে যায়। উচ্ছৃঙ্খল দর্শকরা মাঠে আবাহনীর ফুটবলারদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

 

মোহামেডান বনাম আবাহনী ১৯৭৮

১৯৭৮ সালে লিগের প্রথম পর্বে বড় ভাই মনোয়ার হোসেন নান্নু আবাহনীর অধিনায়ক। অন্যদিকে ছোট ভাই শামসুল আলম মঞ্জুর নেতৃত্বে মোহামেডান মাঠে নামে। ম্যাচের শুরুতেই রেফারি মুনীর হোসেন দুই ভাইকে সতর্ক করে দেন মাঠে কোনোভাবেই যেন সংঘর্ষ না হয়। খেলা যতই এগুচ্ছিল দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। মাঠে আবার বৃষ্টিও শুরু হয়। বৃষ্টিতে রেফারি ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু সমর্থকদের উত্তেজনা থামেনি। সংঘর্ষে ফারুক নামে এক সমর্থক নিহতও হন।

 

আবাহনী বনাম মোহামেডান ১৯৮২

১৯৮২ সালে সুপার লিগে মুখোমুখি হয় দুই জায়ান্ট। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোহিনুরের গোলে এগিয়ে যায় সাদা-কালোরা। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া আবাহনী। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গোল পাচ্ছিল না তারা। এক পর্যায়ে আনোয়ার শট নেন প্রতিপক্ষের পোস্টে। গোলরক্ষক মহসিন বল দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেন। আবাহনীর দাবি ছিল মহসিন সেভ করার আগেই বল টার্চ লাইন ক্রস করেছে। রেফারি মুনীর হোসেন সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে আবাহনীর ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানান। আবাহনীর ৪ ফুটবলারকে জেলে পাঠানো হয়।

 

 আবাহনী বনাম রহমতগঞ্জ ১৯৮৪

১৯৮৪ সাল লিগের প্রথম পর্ব। মুখোমুখি হয় আগের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল রহমতগঞ্জ।  তবুও প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। আর এ গোল নিয়েই বাধে বিপত্তি। আবাহনীর দাবি ছিল অফসাইডে দাঁড়িয়ে গোল করে রহমতগঞ্জ। কিন্তু রেফারি গোলের সিদ্ধান্তে অটল। এতে করে আবাহনীর ইউসুফসহ বেশ কজন ফুটবলার উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে দর্শকরা নেমে পড়লে পরিবেশ ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আবাহনী মাঠে না ফেরায় তাদের ৬ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়।

 

মোহামেডান বনাম ব্রাদার্স ১৯৮৬

১৯৮৬ সালে শক্তির দিক দিয়ে মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ছিল প্রায় সমান সমান। এমন উপভোগ্য ম্যাচে গিয়াসের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। খেলা ভালোভাবেই চলছিল। দ্বিতীয়ার্ধে এক ফাউলকে কেন্দ্র করে দুদলের ফুটবলাররা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। রেফারি দুই দলের দুই ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানোর পর পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ভিআইপি গ্যালারি থেকে উচ্ছৃঙ্খল দর্শক মাঠে নেমে মোহামেডানের ফুটবলারদের ওপর আক্রমণ চালাতে থাকে। এ দৃশ্য দেখে মোহামেডানের সমর্থকরা মাঠে নামলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর