শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অচেনা রূপে চেনা ক্রিকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অচেনা রূপে চেনা ক্রিকেট

মুমিনুলরা শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলবেন ফাঁকা মাঠে। স্টেডিয়ামগুলোয় প্রয়োজনীয় লোকবল ছাড়া আর কাউকেই দেখা যাবে না। ঘরোয়া ম্যাচগুলোতে অনেক সময় দর্শকের দেখা পাওয়া কঠিন হয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইংল্যান্ডে খেলে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। এখন খেলছে অস্ট্রেলিয়া। ২৭ সেপ্টেম্বর তিন টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলতে ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কায় উড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও পূর্ণ নিরাপত্তায় খেলবেন মুমিনুলরা। ক্যান্ডি ও কলম্বোয় খেলবেন দর্শকশূন্য মাঠে। খেলবেন আইসিসির বেঁধে দেওয়া বেশ কিছু নিয়মনীতি অনুসরণ করে। দর্শকশূন্য মাঠে এই প্রথম ক্রিকেট খেলবে টাইগাররা। এই প্রথম বলে লালা, ঘাম কিংবা থুতু লাগাতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলাটা কঠিন মানছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক প্যানেলের অন্যতম সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন।

শুধু ইউরোপ নয়, সারা বিশ্বেই ফুটবল মাঠে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ে। দর্শকের উত্তেজনায় মাঠে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। কিন্তু দর্শক না থাকায় ম্যাড়মেড়ে মনে হয়েছে ফুটবল ম্যাচগুলোকে। ক্রিকেটেও একই অবস্থা। আন্তজার্তিক ম্যাচ মানেই দর্শকের উৎসব, উচ্ছ্বাস। কিন্তু মুমিনুলরা শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলবেন ফাঁকা মাঠে। স্টেডিয়ামগুলোয় প্রয়োজনীয় লোকবল ছাড়া আর কাউকেই দেখা যাবে না। ঘরোয়া ম্যাচগুলোতে অনেক সময় দর্শকের দেখা পাওয়া কঠিন হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে? চিন্তারও বাইরে। সেটাই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। হাবিবুল বাশার দর্শকশূন্য মাঠে খেলার বিষয়ে বলেন, ‘দর্শক হচ্ছে খেলার প্রাণ। মাঠে দর্শক না থাকলে উত্তেজনার ছিটেফোঁটা থাকবে না। কঠিন হয়ে যাবে খেলা। বিষয়টি ভাবতে একটু অদ্ভুতই লাগছে।’ বিসিবি পরিচালক, সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘পরিস্থিতির কারণে এটা মেনে নিতেই হবে। বিশ্বব্যাপী খেলাগুলো এখন দর্শকশূন্য মাঠেই হচ্ছে। খেলোয়াড়রাও খেলছেন। এবার চেনা ক্রিকেটে বাংলাদেশ খেলবে অচেনা রূপে।’

করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে রোগ। নাক, চোখ ও মুখ দিয়ে সংক্রমিত হয়। করোনা সংক্রমিত হওয়ার মূল অস্ত্র হাত। সে জন্য ডাক্তাররা হাত পরিষ্কার রাখতে বলেছেন সার্বক্ষণিক। প্রাণঘাতী রোগটি থেকে বাঁচতে আইসিসি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বলে লালা, থুতু কিংবা ঘাম ব্যবহার করা যাবে না। ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম বলের ঔজ্জ্বলতা বাড়াতে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। টেস্টগুলোতে ইংলিশ, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি বোলারদের যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছে নিয়মগুলো মানতে। বোলাররা বলের ঔজ্জ্বলতা বাড়াতে প্যান্টে বারবার ঘষছেন। অবশ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তার বোলারদের জানিয়েছে, কোনোভাবেই মাথা, গলা কিংবা গালের ঘাম ব্যবহার করা যাবে না। টাইগার বোলাররা বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন অনুশীলনে। যদিও অনুশীলন হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে। তারপরও চেষ্টা করছেন ঘাম, লালা, থুতু ব্যবহার না করার। কাজটি কঠিন বলেন বাশার, ‘দীর্ঘদিনের অভ্যাস। আমি মনে করি কঠিন হবে পেসারদের জন্য।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর