বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নামেই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই ৫ বছর

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

নামেই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম!

খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের বিধ্বস্ত গ্যালারি

ক্রীড়াসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসলে এখানে খেলা আয়োজনের সুযোগও নেই। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মাঠ, প্যাভিলিয়ন, ভিআইপি বক্স, ড্রেসিং রুম, গ্যালারি সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে।

 

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম যেন নামেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু। ২০১৬ সালের পর এখানে গড়ায়নি কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ। পাশাপাশি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় স্টেডিয়ামটি প্রায় ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মাঠ থেকে শুরু করে ড্রেসিং রুম কিংবা গ্যালারি সবকিছুর বেহাল দশা। কয়েকদফা চিঠি চালাচালি হলেও স্টেডিয়ামটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে হতাশা বিরাজ করছে ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়ামোদী মানুষের মধ্যে।

খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামটি দেশের সপ্তম টেস্ট ভেন্যু ও একই সঙ্গে ‘লাকি ভেন্যু’ হিসেবে পরিচিত। এই মাঠের অধিকাংশ ম্যাচেই বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সর্বশেষ এ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের চারটি টি-২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দীর্ঘদিনেও এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসলে এখানে খেলা আয়োজনের সুযোগও নেই। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মাঠ, প্যাভিলিয়ন, ভিআইপি বক্স, ড্রেসিং রুম, গ্যালারি সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে।

সাবেক ভেন্যু মানেজার কাজী আবদুস সাত্তার কচি বলেন, ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে স্টেডিয়ামটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়। লাইভ টেলিকাস্টের যন্ত্রপাতি, ভিআইপি বক্সের কাচ ভেঙে পড়ে। এছাড়া রোদ-বৃষ্টিতে বিনষ্ট হয়েছে গ্যালারির কয়েক হাজার চেয়ার। এখানে সেখানে জন্মেছে আগাছা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় ধরনের অবকাঠামো সংস্কার ছাড়া এ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ার সুযোগ নেই। আর সংস্কার না হওয়ার পেছনে দায় রাজনৈতিক নেতা ও ক্রীড়া সংগঠকদের বলছেন ক্রীড়ামোদী সাধারণ মানুষ।

তরুণ ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মামুন রুবেল বলেন, খেলা হবে কি করে, খেলা হতে গেলে তো অবকাঠামো ঠিক থাকা দরকার। আবু নাসের স্টেডিয়াম একেবারেই ধ্বংসস্তূপ, কিছু নাই। ২০১৬ সালের ঝড়ে ক্ষতি এখনো টেনে বেড়াচ্ছে স্টেডিয়ামটি। জানা গেছে, কয়েকদফা চিঠি চালাচালি হলেও স্টেডিয়ামটি সংস্কারের কোনো উদোগ নেওয়া হয়নি।

এদিকে ক্রীড়ামোদী সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সমন্বয়ের অভাবে এখানে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন হচ্ছে না বলে মনে করেন মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ ইমতিয়াজ হোসেন পিলু। তিনি বলেন, ক্রীড়া সংগঠককে অবশ্যই ক্রীড়ামোদী হতে হবে। তাহলেই লাল-সবুজের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিরবে আবু নাসের স্টেডিয়ামের ২২ গজে। জয়ের গল্প লিখবে বাংলাদেশ দল।

সর্বশেষ খবর